ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তের একেবারে কাছে দ্রুতগতিতে সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। স্যাটেলাইট ছবিতে ধরা পড়েছে, তিব্বতের লুনজে বিমানঘাঁটিতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান শেল্টার নির্মাণ করেছে বেইজিং। লুনজে ভারতের তাওয়াং থেকে প্রায় ১০৭ কিলোমিটার দূরে। আর ম্যাকমোহন লাইনের মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরেই অবস্থিত।
এই নতুন অবকাঠামো চীনকে সীমান্তের একেবারে কাছ থেকে যুদ্ধবিমান ও ড্রোন মোতায়েনের সুযোগ দেবে বলে দাবি করছে ভারতের বিশ্লেষকরা। ফলে ভারতে যেকোনো ধরনের আক্রমণ চালাতে চীনের সময় লাগবে খুবই কম। নজরদারিও করা যাবে সহজে।
ভ্যান্টর (পূর্বে ম্যাক্সার) সংস্থার ১৭ অক্টোবরের উচ্চ-রেজুলেশনের স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, লুনজে ঘাঁটিতে ৩৬টি শেল্টার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এপ্রিল মাসের ছবিতে যেখানে মাটি খোঁড়ার কাজ চলতে দেখা যায়। সেখানে এখন সম্পূর্ণ আধুনিক বাঙ্কারের সারি।
ভারতের সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি.এস. ধনোয়া এনডিটিভিকে বলেন, তিব্বতে চীনা বিমান বাহিনীর সমস্যা ছিল সরঞ্জাম মোতায়েন করা। এখন তারা যখন হর্ডেন্ড শেল্টার তৈরি করছে, তার মানে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ঘাঁটিগুলির ভূগর্ভস্থ টানেলে অস্ত্র ও জ্বালানির মজুত রাখা হতে পারে।
ভারতের সাবেক ভাইস চিফ এয়ার মার্শাল অনিল খোসলা বলেন, এই নির্মাণ চীনের ভবিষ্যৎ যুদ্ধ পরিকল্পনার ইঙ্গিত। এটা ভারতের জন্য গুরুতর কৌশলগত হুমকি, বিশেষ করে যখন ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, এই শেল্টারগুলো চীনা বিমানের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে, ভারতীয় মিসাইল বা বিমান হামলার ঝুঁকি কমেছে কয়েক গুণ। তাছাড়াও চীন ঊঁচু অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ সক্ষমতা নিশ্চিত করে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল