দেশ গঠনে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ভূমিকা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গতকাল নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (ইসিএসএমই) কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের নবম কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠান এবং বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)
জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান। তিনি ইসিএসএমই পৌঁছালে তাকে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ এবং কমান্ড্যান্ট, ইসিএসএমই অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের নবম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে অভিষিক্ত করা হয়। পরে তিনি বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে উপস্থিত কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের অধিনায়ক ও অন্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন এবং কোরের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, বক্তৃতায় সেনাবাহিনী প্রধান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সেনানীসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে স্মরণ করেন। তিনি দেশ ও জাতি গঠনে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য তুলে ধরেন এবং দেশমাতৃকার সেবায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সততা, সত্যনিষ্ঠা ও কর্তব্যবোধে ব্রতী হয়ে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশ গঠনে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের প্রশংসনীয় ভূমিকা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে জিওসি-আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, মহাপরিচালক- বিআইআইএসএস, চিফ কনসালট্যান্ট জেনারেল-অ্যাডহক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট, ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ, অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল, জিওসি-১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, বগুড়া এরিয়া, সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা, কমান্ড্যান্ট, ইসিএসএমই, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের কমান্ডাররা, ইঞ্জিনিয়ার ইউনিটগুলোর অধিনায়করা এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।