বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংঘর্ষের রাজনীতি করলে আবার হাসিনার আমলে ফেরত যেতে হবে। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
গতকাল সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক
আলোচনা সভায় ‘রাস্তায় আন্দোলনের নামে সংঘর্ষের রাজনীতি করলে আবার শেখ হাসিনার আমলে ফেরত যেতে হবে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো বিভেদ নেই, সব দলের নিজস্ব রীতিনীতি থাকে, সবাই সবার মতো মত দেবে, এটাই গণতন্ত্র।’ যার যার এজেন্ডা নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়ারও পরামর্শ দেন বিএনপির এই নেতা। পাশাপাশি, সাংঘর্ষিক ও হিংসাত্মক রাজনীতিতে ফেরত যাওয়া যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দলগুলোর একসঙ্গে বসার কালচার কোনো সময় ছিল না। কেউ কারও চেহারা পর্যন্ত দেখত না। আজকে কিন্তু আমরা এখানে বসেছি সবাই। আমরা বসে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কথা বলছি। আমরা এখানে বসে আগামী নির্বাচনকে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করে দেশে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনব- সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই চলছি যার যার অবস্থান থেকে। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে ১৪ মাস আমরা অতিক্রম করছি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসেনি। আমরা যুদ্ধ করেছি একটি নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের জন্য- সেটা এখনো আমরা পাইনি। আগামী নির্বাচনকে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদেরকে সহনশীল হতে হবে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখতে হবে। দ্বিমত পোষণ করেও তার মতকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমাদের এই কালচারগুলো আনতে হবে। আরেকজনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করব, তারপরও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তো আমাদের অসুবিধা নেই। আমাদের এই সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে।’