ফিলিস্তিনের গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল দীর্ঘ বৈঠকের পর সেনাবাহিনীকে এ নির্দেশনা দেন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু।
এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করায় গাজায় ‘তাৎক্ষণিক ও শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করছে, হামাস জিম্মিদের লাশ ফেরত দিতে বিলম্ব করে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। তবে হামাস অভিযোগ করেছে, দখলদাররা লাশ উদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করছে।
এদিকে নেতানিয়াহুর এমন নির্দেশনার আগে গাজার রাফাতে ব্যাপক গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। মিসর সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলটি মঙ্গলবার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, রাফাতে ঠিক কী হচ্ছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। কিন্তু সর্বশেষ সেখানে ইসরায়েলি সেনা ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে গুলিবিনিময় হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এরপর গোলাবর্ষণের শব্দ শুরু হয়। ওই সময় রাফা এবং খান ইউনিসের পূর্বাংশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ ছাড়া এক ইসরায়েলি সেনা আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। নতুন করে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের পর গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও হতাশা তৈরি হয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এ গোলাগুলির কারণে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে। দখলদাররা আরও বিমান হামলা ও বোমা বর্ষণ করতে পারে।
ইসরায়েলের হাতে সোমবার একটি কফিন বুঝিয়ে দেয় হামাস। আর এ কফিনে এক ইসরায়েলি জিম্মির লাশের বাকি অংশ ফিরিয়ে দিয়েছে তারা। তার লাশের বাকি অংশ ২০২৩ সালের নভেম্বরে গাজা থেকে উদ্ধার করেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। নতুন জিম্মির লাশ না দিয়ে আরেকজনের দেহাংশ ফেরত দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, হামাস এর মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।