বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অ্যাপল নতুন এক ইতিহাস গড়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) কোম্পানিটির বাজারমূল্য ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে অ্যাপল ‘এনভিডিয়া’ ও ‘মাইক্রোসফট’-এর পাশে জায়গা করে নিয়েছে—এই দুই প্রতিষ্ঠানও চলতি বছরই একই মাইলফলকে পৌঁছায়।
সিএনএন জানায়, মঙ্গলবার অ্যাপলের শেয়ারের দাম বেড়েছে ০.১ শতাংশ, যা সাম্প্রতিক সময়ের ধারাবাহিক উত্থানের অংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন আইফোন–১৭–এর ব্যাপক বিক্রি, বিশেষ করে চীনের বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি, এই উত্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে।
তবে বছরের শুরুটা ছিল অ্যাপলের জন্য একেবারেই কঠিন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় পিছিয়ে পড়া এবং স্থানীয় উৎপাদনের চাপে বিপাকে পড়ে কোম্পানিটি। শুধু গত এপ্রিলেই অ্যাপলের বাজারমূল্য কমেছিল প্রায় ৩১০ বিলিয়ন ডলার।
অবশেষে বছর শেষে অ্যাপল প্রমাণ করেছে—আইফোনই এখনো কোম্পানিটির সবচেয়ে বড় শক্তি। এআই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকলেও পণ্যের মান ও বিক্রির স্থিতিশীলতা মার্কিন শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির প্রতি আস্থা ফিরিয়ে এনেছে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত অ্যাপলের শেয়ারমূল্য বেড়েছে ৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের ৩০.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় অনেক কম হলেও কোম্পানিটির জন্য এটি স্থিতিশীল পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২৫ সালকে বলা হচ্ছে ‘এআই উন্মাদনার বছর’। এই সময়েই অ্যাপল নতুন রেকর্ড গড়ে তিন প্রযুক্তি জায়ান্টের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। এর আগে এনভিডিয়া এআই চিপ নির্মাণে এবং মাইক্রোসফট ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের নেতৃত্বে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাবে যোগ দিয়েছিল।
অ্যাপল প্রথমবার ১ ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্যে পৌঁছায় ২০১৮ সালের আগস্টে। এরপর ২০২০ সালে ২ ট্রিলিয়ন, একই বছর ৩ ট্রিলিয়ন, এবং অবশেষে ২০২৫ সালে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে নতুন ইতিহাস গড়ল অ্যাপল।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ড্যান আইভস বলেন, “এটি স্পষ্ট—আইফোন–১৭–এর মাধ্যমেই অ্যাপলের নতুন সাফল্য এসেছে। ওয়াল স্ট্রিট এখন কোম্পানিটির নতুন এআই কৌশল ঘোষণার অপেক্ষায়।”
সূত্র: সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/আশিক