বগুড়ায় ভালো ফলন এবং দাম পাওয়ায় হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, ধুনটসহ বিভিন্ন উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষে ঝুঁকেছেন কৃষক। ইতোমধ্যে এর হারভেস্টিং শুরু হয়েছে। বৃষ্টির জন্য আগাম কাঁচা মরিচ বাজারে উঠতে দেরি হলেও ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক।
জানা গেছে, বগুড়ার মরিচ দেশজুড়ে খ্যাত বলে দিনদিন চাষাবাদ বেড়েই চলেছে। এ অঞ্চলের মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়। সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার চরাঞ্চলে প্রতি বছরই বাড়ছে মরিচের চাষ। তবে কমে যাচ্ছে দেশি জাতের মরিচের আবাদ। সে স্থান দখল করছে হাইব্রিড নানান জাতের মরিচ। ফলন ভালো হলেও এবার মরিচের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। এ জেলার মরিচের রং এবং ঝাল বেশি হওয়ায় চাহিদাও বেশি। যার কারণে মসলা প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো মরিচ কেনার জন্য প্রতিনিধির মাধ্যমে মৌসুমের শুরু থেকেই তৎপরতা চালাতে থাকে। সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার চরাঞ্চলগুলোতে এখন বিভিন্ন জাতের সবুজ মরিচ গাছ শোভা পাচ্ছে। এ বছর বন্যা না হওয়ায় কৃষক চরাঞ্চলের জমিতে আগাম বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড মরিচ আবাদ করেছেন। শুরুতে বৈরী আবহাওয়ায় কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছ আপন মনে বেড়ে উঠেছে। বেশির ভাগ জমিতে মরিচ ধরেছে এবং তা পরিপক্ব হতে শুরু করেছে। কৃষক বাজারে বিক্রিও শুরু করেছেন।
কৃষক জানান, প্রতি বছর যমুনার পানি নেমে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকেন চরাঞ্চলের চাষিরা। পানি নেমে যাওয়া মাত্র তোড়জোড় শুরু মরিচ চাষে। চলতি মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় মরিচ চাষে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও ফলন বেশ ভালো হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বগুড়ায় ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে মরিচের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার ১২ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মরিচ চাষ হয় সারিয়াকান্দিতে। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান ফরিদ জানান, কৃষি বিভাগ থেকে কৃষককে নানান পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।