খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা এলাকা সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। দিনরাতে অস্ত্র হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সন্ত্রাসীরা। গত তিন মাসে একাধিক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটলেও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে তারা হয়ে উঠেছে আরও বেপরোয়া।
গতকাল ভোরে মহেশ্বরপাশা খুঠিরঘাট এলাকায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী মো. মহসিন শেখ লিটুর বাড়ি লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা মুহুর্মুহু গুলি করে। বাড়ির সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, হেলমেট পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি চারটি মোটরসাইকেলে এসে বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে গুলি ছুড়তে থাকে। গুলিতে মহসিনের রুমের জানালার থাই ক্লাস ভেঙে গেছে। ঘটনার সময় মহসিন ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে অবস্থান করছিলেন। বাসায় ছিলেন তার স্ত্রী ও দুই সন্তান।
এর আগে খুঠিরঘাট এলাকায় রড, সিমেন্ট ব্যবসায়ী মেহেদী হাসানের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল দুটির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিক ইসলাম বলেন, দুই বাড়ির মালিকের মধ্যে কোনো সম্পৃক্ততা নেই বা চাঁদাদাবির কোনো ঘটনাও নেই। ঘটনাস্থল থেকে ৬ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার হয়েছে। কারা এবং কী কারণে গুলি করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত ৩ আগস্ট রাতে মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার খানাবাড়ি সড়কে আলামিন নামের যুবককে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ১১ জুলাই মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়ায় গুলি করে মাহাবুবুর রহমান মোল্লা নামে এক যুবদল নেতাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ১ অক্টোবর মহেশ্বরপাশায় বাড়ির জানালা দিয়ে তানভীর হোসেন নামে যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।