জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশে বেশ কিছু ভাষাগত অস্পষ্টতা রয়েছে। সেগুলোর পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ছাড়া দু-এক দিনের মধ্যেই সনদে স্বাক্ষরের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গতকাল রাজশাহী সফরকালে পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচনের আগে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে জড়িতদের বিচারের রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে এবং অভিযুক্ত সেনাসদস্যদের বিচার প্রক্রিয়া চলমান রাখতে হবে। আগের পদ্ধতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলীয় প্রতীক হিসেবে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারিতা। নির্বাচন কমিশন অন্য কোনো শক্তির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। গায়ের জোরে এমন আদেশ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখানে কোনো আইনি বাধা নেই। নির্বাচন ও রাজনৈতিক কার্যক্রম ব্যাহত করতেই এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। এ প্রতীক না দেওয়া হলে রাজপথে আন্দোলনে নামবে এনসিপি। তিনি আরও বলেন, যে রাজনৈতিক দল সংস্কারের বিপক্ষে দাঁড়াবে বা ইতিহাসে দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনে জোট করার কোনো সম্ভাবনা নেই।
সারজিস আলম আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের পক্ষ থেকে জুলাই জাতীয় সনদের আদেশ জারি করতে হবে। গণভোট নির্বাচনের আগে হলে দলীয় প্রভাবমুক্ত থাকবে, এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। গণভোটের সিদ্ধান্ত সন্তোষজনক। নোট অব ডিসেন্টের ব্যাপারটিও গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। রাজশাহীতে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে এনসিপির শীর্ষ নেতারা উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।