নির্বাচনকালে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজ বা শ্বশুরবাড়ি এলাকায় যেন কারও পোস্টিং না হয় এবং কোনো এলাকায় আত্মীয়-স্বজন নির্বাচনে দাঁড়ালে সেখানেও যেন পদায়ন না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বুধবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন।
প্রেস সচিব জানান, আজ দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় নির্বাচনী প্রস্তুতি বিষয়ে একটা উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বেশকিছু নির্দেশনা দেন তিনি।
বিগত তিনটি নির্বাচনে ডিসি, এডিসি ও নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের এবারের নির্বাচনে যুক্ত না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, যিনি গত তিনটা ইলেকশনে ইনভলভ ছিলেন সেখানে তারা রিটার্নিং অফিসার হন, পোলিং অফিসার হোন বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হন, তিনটা ইলেকশনে তাদের যদি মিনিমামও রোল থাকে, তাদেরকে নির্বাচনে যুক্ত করা যাবে না।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো রোধে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে যথেষ্ট আলাপ হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনারা জানেন– কীভাবে মিসইনফরমেশন ডিসইনফরমেশন ছড়ানো হচ্ছে। সেটা নিয়ে আজকের বৈঠকে বড় ধরনের আলাপ হয়। দুটি কমিটি করার কথা বলা হয়। একটা হচ্ছে, সেন্ট্রাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি। যারা এই পুরো কোঅর্ডিনেশনটা করবেন। এই সেন্ট্রাল কোঅর্ডিনেশন কমিটির যাতে একদম উপজেলা পর্যন্ত এই কমিটি থাকে, সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- নির্বাচনে আর্মি ও নেভির ৯২ হাজার ৫০০ এর মতো সদস্য মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে ৯০ হাজার থাকবে সেনা সদস্য, বাকিটা নৌবাহিনী সদস্য। এছাড়া নির্বাচন দিনের ৭২ ঘণ্টা আগে এবং নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মোকাবিলার বিশেষ প্রস্তুতি থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ