কক্সবাজারের টেকনাফে অদূরে বঙ্গোপসাগরের জলসীমা থেকে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৭ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘টেকনাফে বঙ্গোপসাগরের অদূরে নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে ট্রলারসহ ৭ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। যার মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি ও ২ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।’
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে অদূরে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় একটি ট্রলার ও ৭ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাটের ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ। তিনি জানান, টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাযুকখালীযা পাড়ার বাসিন্দা শওকত আলমের ছেলে শাওন আহমদ নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ট্রলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে অদূরে সীতা এলাকায় সাগরে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সদস্যরা একটি স্পিডবোটযোগে বাংলাদেশ জলসীমানার সীতা এলাকায় ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে ট্রলারসহ ৭ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।
২৭ অক্টোবর সোমবার বিকেলে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়া এলাকার দুই সহোদর আব্দুর রহমান (৩৮) ও আবুল কালাম (৪০), শফি আলম (১৯) এবং আরও একজন রোহিঙ্গা জেলেকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আটক করে। তাদের এখনও মুক্তি দেয়া হয়নি।
বিজিবির দেয়া তথ্য মতে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ৩২২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি নৌযান ফেরত আনা সম্ভব হলেও আরও ১৭টি ট্রলারসহ ১৩৩ জনকে ফেরত দেয়নি আরাকান আর্মি।
বিডি প্রতিদিন/এএম