প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ পৌরকর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে হা-মীম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিফাত গার্মেন্টসের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে নামে মাত্র কর দিতেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক এ কে আজাদ। কিন্তু হাসিনার পতনের পর পৌর কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন করে পৌরকর ধার্য করলে ক্ষিপ্ত হন তিনি।
অভিযোগ উঠেছে, এ কে আজাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী পৌরকর ধার্য না করায় মূল্য দিতে হয় তৎকালীন পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)। প্রভাব খাটিয়ে তাকে বদলি করান এ কে আজাদ।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের আয়তন, কর্মচারীর সংখ্যা এবং স্থাপনার আয়তনের ওপর পৌরকর নির্ধারণ হয়। ২০১৩ সালে মিল কেনার সময় হা-মীম গ্রুপের মালিক এ কে আজাদ ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এবং শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন। ওই প্রভাবে তাঁর রিফাত গার্মেন্টসের জন্য নামমাত্র পৌর কর দিতেন আজাদ। গত অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি পৌরকর দেয় তিন লাখ ৮২ হাজার টাকা।
জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন নির্দেশনায় পৌরকর নির্ধারণ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এতে রিফাত গার্মেন্টসের কর নির্ধারিত হয় ৪২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। আগের মতো কম টাকা কর নেওয়ার জন্য আপিল করেন তিনি। তাছাড়া কর কমানোর জন্য পৌর প্রশাসককে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। কাজ না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হন।
কয়েক দিনের মধ্যে তৎকালীন ইউএনওকে কালীগঞ্জ থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে বদলি করা হয়। এসব বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্তের মোবাইল ফোনে একাধিকার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সৌজন্যে - কালের কণ্ঠ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ