‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কেবি) কলেজের শিক্ষার্থীদের মানসিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। গত এইচএসসি পরীক্ষায় তাদের ফলাফল ছিল ঐশ্বর্যময়, আমি খুব খুশি হয়েছি। আগামীদিনে এই সাফল্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আজকের নবীনদের। কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে নিবেদিত অধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা সকলকে সাধুবাদ ও শুভকামনা জানাই। তবে শুধু পড়াশোনায় ভালো হলেই হবে না, শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমিক, সৎ, সত্যবাদী ও বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। কেবি কলেজের হোস্টেলের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে করা হবে।’
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অবস্থিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে (কেবি কলেজ) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
এ সময় কলেজের পক্ষ থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কেবি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিতে যা যা করার দরকার আমরা করেছি। কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকেরা আন্তরিকতার সাথে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা শুধু ময়মনসিংহ বোর্ডে সেরা নয়, এবার আমরা দেশসেরা হতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, আজকে যারা নবীন শিক্ষার্থী, কলেজের পতাকা আজকে তোমাদের হাতে। আজকে তোমরা যে শপথ গ্রহন করেছো, সেটি অন্তরে ধারণ করতে হবে। এখানে যারা ভর্তি হয়েছো তারা মেধার পরিচয় দিয়েই সুযোগ পেয়েছো। তবে শুধু মেধাবী নয়, তোমাকে হতে হবে পরিশ্রমী। পরিশ্রমীরা কখনও পিছিয়ে পড়ে না। উচ্চ মাধ্যমিক সময়টি জীবনের চৌরাস্তা, এখান থেকেই জীবনের গতিপথ নির্ধারণ হবে।
কেবি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমান, কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার। এছাড়া কেবি কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, নবীন শিক্ষার্থীবৃন্দ ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ময়মনসিংহ বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। এছাড়াও এবছর ৯২১ জন শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৭৩০ জন, বাণিজ্য বিভাগে ৪০ জন এবং প্রথমবারের মতো মানবিক বিভাগে ১৫১ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত বলে কলেজ সূত্রে জানা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত