চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে সাম্প্রতিক পানি কমার পরও বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষজন শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে ভুগছেন। জেলা সদর উপজেলার নারায়নপুর ও চর আলাতুলী ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ বন্যায় দিশেহারা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
বন্যা প্লাবিত হয়েছে জেলা শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, উজিরপুর ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। পদ্মার পানি গত ২৪ ঘন্টায় ১ সে.মি. কমে বর্তমানে বিপৎসীমার ৩৩ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জেলায় এখন বন্যার শঙ্কা নেই।
অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ার ফলে পদ্মা তীরবর্তী সদর ও শিবগঞ্জের চরাঞ্চলের প্রায় ১২ হাজার পরিবার এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি অবস্থায় ছিলেন। প্রায় ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগে পড়েছেন নারায়নপুর ও চর আলাতুলী এলাকার মানুষ।
সদর উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নাজির হোসেন জানান, তার এলাকায় প্রায় ৮০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় এক সপ্তাহ ধরে রয়েছেন। সরকারি চাল ও শুকনো খাবারের বরাদ্দ রয়েছে, তবে এটি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. ইয়াছিন আলী বলেন, নিম্নাঞ্চলের ২ হাজার হেক্টর জমির ফসল অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম আহসান হাবীব জানান, পদ্মা নদীর পাঙখা পয়েন্টে ২৪ ঘন্টায় পানি ১ সে.মি. কমে বিপৎসীমার ৩ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২-৩ দিন এই অবস্থা থাকার পর পানি আরও কমতে শুরু করবে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক