শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

মরু দুস্তর পারাবার, কান্ডারি হুঁশিয়ার

ফাইজুস সালেহীন
প্রিন্ট ভার্সন
মরু দুস্তর পারাবার, কান্ডারি হুঁশিয়ার

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাহেবের সোজা কথা, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে হলে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। যারা হাত হারিয়েছেন, তাদের হাত ফিরিয়ে দিতে হবে। তাহলে কী দাঁড়াল? সাত মণ ঘি-ও জুটবে না, রাধাও নাচবে না। জীবন কিংবা হারানো হাত কোনোটাই ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না, অতএব ইলেকশনও হবে না। কথা পরিষ্কার। এখনই ইলেকশনের দরকারটাইবা কী! এমন তো নয় যে ইলেকশন হচ্ছে না বলে মসনদ খালি পড়ে রয়েছে। খালি পড়ে থাকবেও না। ওটা খালি পড়ে থাকার জিনিসও নয়। ক্ষমতায় ভরা থাকে সব সময়। রাম না থাকলে রামের জুতো রাজ্য শাসন করে। জুতো পাহারা দেয় সতালো ভাই ভরত। দস্যু রত্নাকর বাল্মীকি নাম ধারণ করে রচনা করেন এ কাহিনি। হিন্দু পুরানের এ কাহিনির মধ্যে ধর্ম কতখানি আছে সেটা তারাই ভালো জানেন, যারা সেই ধর্মের চর্চা করেন। তবে চিন্তকগণের কাছে এ কাহিনির অর্থ হলো, মসনদ বা সিংহাসন কিংবা গদি কখনোই খালি পড়ে থাকে না। জুতো দিয়ে হলেও সেটা ভরা থাকে। জুতোর ওপর তখন ক্ষমতার ভর আরোপ করা হয়। তাহলে নির্বাচনের ঝামেলা করার দরকার কী? যেমন চলছে চলুক না।

মন্দ কী! চাঁদাবাজি হচ্ছে, খুনাখুনি হচ্ছে, স্ক্রিপ্টেড ড্রামা হচ্ছে, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, বিদেশি মিশনে সিটিং হচ্ছে, অনলাইনে গালিগালাজ হচ্ছে, ক্যাম্পাসে অশ্রাব্য সেøাগানে বাতাস ভারী হচ্ছে, চরিত্রহননের মহোৎসব চলছে ফেসবুকে, নেটিজেনদের বড় একটা অংশ সামাজিক মাধ্যমে মেয়েদের বিশ্রী ভাষায় ট্রল করছে, রাজনীতিকে অশ্লীলতার ভাগাড়ে চুবাতে চাইছে কেউ কেউ, বক্তা সম্পাদকদের চোখ রাঙাচ্ছে। পরিবেশ বাঁচাতে হাঁপিয়ে উঠেছেন এনভায়রনমেন্ট অ্যাডভাইজার, সফেদ পাগড়িওয়ালা যেই চিন্তাবিদ বলেছিলেন গণ অভ্যুত্থানই জনগণের ম্যান্ডেট, এ সরকারই নির্বাচিত সরকার; সেই তিনি-ই এখন বলছেন, এ সরকারের জুলাই সনদ ঘোষণার কোনো অধিকার নেই। অতঃপর আমরা সাধারণ মানুষ যাই কোথায়! এ পরিস্থিতিতে জনগণের জন্য কোনো স্পেস না থাকলেও ইলেকশনের প্রস্তুতি চলছে ঠিকই। রাজনীতি ও অপরাজনীতি মিলে বেশ একটা গরম হাওয়া বইছে বাংলাদেশের শ্যামল প্রান্তরে।

সে যা-ই হোক; নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একই বক্তৃতায় আরও একটি কোটেবল কথা বলেছেন। সেটা হলো, ‘গণমাধ্যম আগে ছিল “হাসিনামাধ্যম”, এখন কী মাধ্যম হয়েছে সেটা বললে চাকরি থাকবে না। গণ অভ্যুত্থানের পরে সব মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে বসেছিলাম, তাদেরকে একটা কথা বলেছিলাম, যারা আকাম করেছেন, ঘরের ভিতরে বসে থাকেন।’

ফাইজুস সালেহীন‘যদি লজ্জা থাকে, ঘরের ভিতর থেকে বের হবেন না। কিন্তু তাদের লজ্জা নাই। তারা বারবার বাংলাদেশের মানুষদের ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে।’

পাটওয়ারী সাহেব গণমাধ্যমের এত বড় একজন অভিভাবক, সেটা জানতাম না। সম্পাদকদের সঙ্গে অতীতে কোনো নেতা এমন কড়া কথা বলেছেন বলেও শুনিনি। পাকিস্তানের লৌহমানব আইউব খান একবার সম্পাদকের পদমর্যাদা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে ডন পত্রিকার সম্পাদক আলতাফ গওহর বলেছিলেন, সম্পাদকের লিখিত কোনো পদমর্যাদা নেই। যদি কোনো পদমর্যাদা নির্দেশ করতে হয়, তাহলে সেটা হতে হবে (প্রেসিডেনশিয়াল সরকারের) প্রেসিডেন্টের সমান। এ কথা শোনার পর আইউব খান আর কোনো রা করেননি। আইউব খান চাইলে রেগেমেগে বলতে পারতেন, ‘গওহর তুমি এখন থেকে গৃহবন্দি।’ কিন্তু তিনি তা বলেননি। কেননা, একনায়ক হলেও তাঁর সেই শিক্ষা ছিল। গণমাধ্যম কাকে বলে সেটা তিনি জানতেন। দৈনিক বাংলায় নির্মল সেন লিখেছিলন ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই।’ এটা পড়ে শেখ মুজিবুর রহমান নাকি ফোন করে নির্মল সেনকে বলেছিলেন, ‘আমি তোমার হাত কেটে দেব।’ পূর্বপরিচিত একজন সিনিয়র সাংবাদিককে বলা কথাটি আর যা-ই হোক গোটা সাংবাদিক কমিউনিটিকে হুমকি দেওয়ার উদ্দেশে তিনি বলেননি। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, প্রফেসর মোজাফফর আহমদ, মণি সিংহ, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান- তাঁদের কেউ কোনো দিন সাংবাদিক কমিউনিটিকে চোখ রাঙিয়ে কথা বলেননি। সম্পাদকদের তো নয়ই। পাটওয়ারী সাহেব ধমকালেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কী এবং কত প্রকার তা তিনি বেশ বুঝিয়ে দিলেন। এ কাজটি যে তিনি অভ্যুত্থানের প্রথম প্রহরেই করেছিলেন তা-ও জানিয়ে দিলেন সগৌরবে। সেজন্য তিনি করতালি পেতেই পারেন। এরকম পরিস্থিতির মধ্যেও ছাপোষা সাংবাদিক হিসেবে দুয়েকটি কথা বলার স্পর্ধা সংবরণ করা কঠিন। শেখ হাসিনার আমলে গণমাধ্যম হয়ে গিয়েছিল হাসিনামাধ্যম। কথা সত্য। সাংবাদিকরাও হাসিনামাধ্যমের কর্মী হয়ে গিয়েছিলেন। তারপরও, দিনের ভোট যে রাতে হয়েছিল, নৌকায় ভোট না দিলে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকিধমকি, বিশ্বজিৎকে মারার খবর, আবরার হত্যার খবর- এমনই অজস্র অন্যায় অপরাধের অথেনটিক সংবাদ কে জাতিকে দিয়েছিল?

সাংবাদিকরা নয় কি? বিরোধী দলের কর্মসূচিতে পুলিশি নির্যাতন, সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বিরোধীদলীয় নেতাদের বক্তব্য, বিভিন্ন সমাবেশের বিস্তারিত নিউজ দেশবাসীর কাছে কারা পৌঁছে দিয়েছিল? এত বড় একটা অভ্যুত্থানের প্রতি মুহূর্তের খবর সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কি দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেয়নি? আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে রিপোর্টার ও ফটোসাংবাদিকরা কি পুলিশের মার খায়নি? সাংবাদিকদের কাউকে কাউকে কারাগারে পাঠানো কি হয়নি? আওয়ামী লীগের ধামাধরা গুটিকতক সাংবাদিক ও সম্পাদক হাত কচলেছেন বলে গোটা কমিউনিটিকে ধমকাবেন! মানলাম, সাংবাদিক ও সম্পাদকরা হাসিনার হয়ে গিয়েছিলেন। এখন যারা সমন্বয়ক, নবীন নেতা, ছাত্রশিবিরের নেতা; তখন কি তাদের অনেকে ছাত্রলীগের পোশাক পরে নিজেদের আড়াল করেননি? শেখ মুজিবকে মহামানব বানিয়ে অনেকে বক্তৃতা করেননি? সেসব বক্তৃতার ভিডিও সমাজমাধ্যমেও প্রচারিত হয়েছে। কেন করেছিলেন? জানি, জবাব তৈরিই আছে। বলা হবে, ভয়ে করেছি, বাধ্য হয়ে করেছি, ছাত্রলীগ না করলে হলে সিট পাওয়া যেত না; আরও কত অজুহাত! সাংবাদিকদের বেলায় যত দোষ। তাদের যেন ভয় থাকতে নেই। আমরা সবাই ভয়ে কাচুমাচু করব আর সাংবাদিকরা সব ভয়কে তুচ্ছ করে মাথা পেতে দেবেন। কেন দেবেন না? তাদের ঘাড়ে তো অনেকগুলো মাথা। একটা কাটা গেলে কী এমন ক্ষতি! খুবই যুক্তির কথা; আহ্লাদের কথাও বটে।

তৎকালীন রাশিয়ার কমরেড জোসেফ স্তালিন একদিন পার্টির বর্ধিত সভায় বক্তৃতা করছিলেন। হল ভর্তি কমরেডস। স্তালিন তাঁর বক্তৃতায় পূর্বসূরি নেতৃত্বের ভুলত্রুটির সমালোচনা করছিলেন। তখন পেছনের সারি থেকে একজন সাহসী ও স্পষ্টভাষী কমরেড দাঁড়িয়ে বললেন, কমরেড এসব আপনি সেই সময়ে বলেননি কেন? স্তালিন থমকে গেলেন। গর্জে উঠলেন, কে! কে প্রশ্ন করল? পুরো হলে নেমে এলো পিনপতন নীরবতা। কেউ আর উঠে দাঁড়িয়ে বললেন না, আমি প্রশ্ন করেছি। কিছুক্ষণ চুপ থেকে স্তালিন হেসে বললেন, আজকে যে কারণে আপনি নিজের পরিচয় দিতে পারছেন না, ঠিক একই কারণে আমিও সেদিন চুপ ছিলাম।

এটা জনশ্রুতি। তাহলেও শিক্ষণীয়। যে কারণে সমন্বয়ক ও ছাত্রশিবিরের অনেকে ছাত্রলীগের পোশাক পরেছিলেন, ঠিক একই কারণে গণমাধ্যমও সেদিন সব কথা বলতে পারেনি। এ কথাটি বোঝার জন্য অতি বড় তাত্ত্বিক হওয়ার প্রয়োজন নেই।

প্রসঙ্গান্তরে যাই, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বা এনসিপি কিংবা ইলেকশন যারা চাইছেন না, তাদের যত পূর্বশর্তই থাকুক না কেন, ঘোষিত টাইমফ্রেমের মধ্যে নির্বাচন হওয়া দরকার। ইলেকশন ছাড়া বিরাজমান অরাজক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। যত দিন যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের শক্তি ততই ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজরা ক্রমে আরও বেশি শক্তিশালী হচ্ছে। পরিস্থিতিদৃষ্টে মনে হচ্ছে এরা নিজেরাই আলাদা একটি দল। যেখানে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সুযোগ আছে সেখানে সব দলের লুটেরারা এক হয়ে যাচ্ছে।

সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটের চলমান প্রক্রিয়ার সঙ্গে নাকি সব দলের নেতারাই এককাট্টা। সারা দেশে কমবেশি একই পরিস্থিতি দৃশ্যমান। সব দলের খবরদারির চাপে পড়ে স্থানীয় প্রশাসন অনেক ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে সরকারের ভিতরে আরও একটি সরকার আছে বলে যে কথা উঠেছে সেটা প্রবলতর হতে পারে। ছায়া সরকার ইলেকশন রহিত করার তৎপরতা বাড়িয়ে দিতে পারে। তখন পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে যাবে। সরকারের ভিতরে আরও একটি সরকার থাকার ধারণাটি যে অমূলক নয়, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কথাতেও তার আভাস পাওয়া যায়। তা নাহলে সরকারের কেউ না হয়েও তিনি কী করে বলেন যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না?

কিন্তু দেশ ও জাতির স্বার্থে ইলেকশন হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনের জোর হাওয়া বইতে শুরু করলে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নে সরকার অনড় অবস্থান গ্রহণ করলে দলগুলোও নিজেদের স্বার্থেই কৌশল পরিবর্তন করবে। এবারের ইলেকশনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে। ইলেকশন সামনে রেখে রাজনীতির নতুন মেরুকরণ শুরু হবে। বড় দুই দল ছোট দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জোট বাঁধার জন্য যোগাযোগ করবে। আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনে যারা বিএনপির সঙ্গে ছিল তারা সম্ভবত এ ইলেকশনেও বিএনপির সঙ্গেই থাকবে। আরও দুয়েকটি দল নতুন জুটতে পারে। সব কটি আসনে এককভাবে ভোট করার সক্ষমতা বিএনপির আছে। তাহলেও কৌশলগত কারণে বড় দলকে অ্যালায়েন্স করতে হয়। এতে ভোটের হিসাবে খুব একটা লাভ হওয়ার নয়। তবে নির্বাচনে জিতে দেশ চালানোর সুযোগ হলে ছোট দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বিরোধী দল যাতে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে, তার জন্য আগেভাগে জোটের শিকল দিয়ে ছোট দলগুলোকে বেঁধে ফেলাই অ্যালায়েন্স গঠনের আসল উদ্দেশ্য। জামায়াতে ইসলামীও ইসলামিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জোট বাঁধার চেষ্টা করবে।

এবারের নির্বাচন বিএনপি বা জামায়াত কারও জন্য সহজ হবে না। অতীতে জনমত প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। এক ভাগ আওয়ামী লীগ আরেক ভাগ বিএনপি। আরেক ভাগে ছিল সাইলেন্ট ভোটার্স। এখন সেই সাইলেন্ট ভোটারের আনুপাতিক হার ৪৮ শতাংশ। এ তথ্য পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক এক জরিপ রিপোর্ট থেকে। এ ৪৮ শতাংশের অধিকাংশের ভোট যে দলের মার্কায় যাবে সেই দলই ভবিষ্যতে সরকার গঠন করবে।

হালফিল বৃহত্তম দল বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এটাই লোকবিশ্বাস। কিন্তু বিএনপি যদি তার উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তাহলে ভিন্ন ফলও হতে পারে। আগেও বলেছি, বিএনপির ওপর মানুষের প্রত্যাশা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। ওয়ান-ইলেভেনের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অনেক বদনাম ছড়ানো হয়েছে। তার বেশির ভাগই ছিল অসত্য কিংবা অতিরঞ্জিত। তবু কিছু লোক যে সেসবে বিভ্রান্ত হননি এমন দাবি করা যাবে না। তাহলেও এ কথা মানতেই হবে যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যেভাবে পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রেখে এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলার যে শক্তি ও সাহস তিনি জুগিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আওয়ামী লীগ শাসনামলে দল ও নেতা-কর্মীদের ওপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গেছে, তার মধ্যে পূর্ণ শক্তি নিয়ে বিএনপির মতো উদার গণতান্ত্রিক একটি দলের টিকে থাকার সংগ্রাম মোটেও সহজ ছিল না। সেই বৈরী সময়ে বিএনপি শুধু টিকেই ছিল না, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আন্দোলন-সংগ্রামের সম্ভাব্য যতগুলো পথ ছিল, তার সব পথে সক্রিয় ছিল দলটি। চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের পাটাতন বিএনপিই তৈরি করেছিল। হয়তো সে কারণেই বিএনপি এখনো জনসমর্থনের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে।

তারপরও সামনের ভোটে বিএনপিকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অনেকে মনে করেন। ৫ আগস্টের পরে বিএনপির গ্রামগঞ্জের একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী নেতা, পাতি নেতা ও কর্মীর চাঁদাবাজি, বালুমহাল, পাথরক্ষেত্র, বাজারঘাট এমনকি টিসিবির কার্ড বিতরণ, ইউনিয়ন পরিষদের বয়স্ক ভাতা, থানা-পুলিশ- সব জায়গায় তাদের বদনজর, কামিয়ে নেওয়ার ধান্দা দলটি সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে চলেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও অন্য নেতাদের আদেশ-নিষেধ ও উপদেশে ওরা কর্ণপাত করছে না। এ শ্রেণির নেতা-কর্মীরা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট সচেতনও নয়। দলীয় আদর্শ ও কমিটমেন্ট সম্পর্কে এদের বিশেষ কোনো ধারণা নেই। এরা অন্যান্য দলের স্থানীয় চান্দাবাজ ও মব মাস্টারদের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে মানুষের ওপর জুলুম করছে। টহল পুলিশের দল এসব লোকের আড্ডাখানায় বসে চা খায়। কিন্তু বদনাম হচ্ছে বিএনপির সবচেয়ে বেশি।

 

এ কথাগুলো আগেও একাধিকবার বলেছি। আবার বললাম মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। জরিপ বলছে ৪৮ শতাংশ ভোটার কোন মার্কায় সমর্থন দেবেন, সিদ্ধান্ত নেননি। এ ৪৮ পার্সেন্ট কারা? অনুমান করি এদের বড় একটা অংশ বিএনপির সমর্থক ছিলেন। এখন কাজকারবার দেখে হয়তো চুপ হয়ে গেছেন। হয়তো সমর্থন বদলানোর কথাও ভাবছেন। মনে রাখতে হবে, এ দেশের মানুষ ঠকতে ঠকতে খুব সাবধান হয়ে গেছেন। সিঁদুরে মেঘ দেখে ভাবেন আগুন লাগল কি না! শেখ হাসিনা কী সাংঘাতিক ব্লাফই না দিয়েছেন এ দেশের মানুষকে। ১৯৯৬ সালে তিনি হিজাবপরা দরবেশ হয়ে গিয়েছিলেন। দিন বদলের ইশতেহার দিয়েছিলেন। মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার চমৎকার রূপরেখা দিয়েছিলেন। নৌকার মিছিলে তখন সেøাগান ছিল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, নৌকার মালিক তুই আল্লাহ। ভুলত্রুটি ক্ষমা চাই, নৌকায় ভোট চাই। সেই নৌকা ভোটের দরিয়া পার হয়ে গেলে আওয়ামী লীগ জনগণকে তার ধারালো দাঁত দেখাতে শুরু করল। ১৫ বছরের সেই ইতিহাস গুম, খুন ও লুণ্ঠনের ইতিহাস। ভোটের অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এদিকে বৈষম্য বিলোপের কথা বলে বৈষম্যবাদ কায়েম করার নকশাও তো মানুষ দেখছে। কাজেই সামনের ভোটে মানুষের মন জয় করতে হলে নিজেদের মন বদলাতে হবে। মন না বদলালে সুশাসন আসবে না। দেশ ও সমাজেরও কোনো উন্নতি হবে না।

 

                লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক

এই বিভাগের আরও খবর
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
কৃত্রিম সারসংকট
কৃত্রিম সারসংকট
খানাখন্দে ভরা সড়ক
খানাখন্দে ভরা সড়ক
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার
ইস্তিগফারের উপকারিতা
ইস্তিগফারের উপকারিতা
মরণযাত্রা
মরণযাত্রা
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
মানবতাবিরোধী অপরাধ
মানবতাবিরোধী অপরাধ
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
সর্বশেষ খবর
চাকসু নির্বাচনে ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবি
চাকসু নির্বাচনে ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবি

৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

প্রথম নিজস্ব এআই চিপ বানাচ্ছে ওপেনএআই
প্রথম নিজস্ব এআই চিপ বানাচ্ছে ওপেনএআই

১৩ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র  প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’
‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আমিরাতে শুরু হচ্ছে প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ
আমিরাতে শুরু হচ্ছে প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ
নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লড়াই করেও হারল টাইগ্রেসরা
লড়াই করেও হারল টাইগ্রেসরা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস
পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?
তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক
রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে
বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’
‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসংযোগ
সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান
রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের লাঠিপেটা অপ্রত্যাশিত : সাদা দল
এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের লাঠিপেটা অপ্রত্যাশিত : সাদা দল

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন স্বর্ণা
দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন স্বর্ণা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৪ অক্টোবর ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস
১৪ অক্টোবর ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিদ্যালয়ের কক্ষে প্রধান শিক্ষকের সংসার, মাঠ যেন গো-চারণভূমি
বিদ্যালয়ের কক্ষে প্রধান শিক্ষকের সংসার, মাঠ যেন গো-চারণভূমি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পেকুয়ায় নৌবাহিনীর তিন দিনব্যাপী বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন শুরু
পেকুয়ায় নৌবাহিনীর তিন দিনব্যাপী বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে ‘জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ’ শুরু
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে ‘জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ’ শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘সব প্রতিবেদন হুবহু’ প্রকাশ করায় ময়মনসিংহের ১১ সংবাদপত্রের ডিক্লারেশন বাতিল
‘সব প্রতিবেদন হুবহু’ প্রকাশ করায় ময়মনসিংহের ১১ সংবাদপত্রের ডিক্লারেশন বাতিল

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বক্স অফিসে কান্তারা ঝড়, পিছে পড়ল বাহুবলী-সালার!
বক্স অফিসে কান্তারা ঝড়, পিছে পড়ল বাহুবলী-সালার!

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পঞ্চগড়ে ‌‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচি নিয়ে নওশাদ জমির
পঞ্চগড়ে ‌‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচি নিয়ে নওশাদ জমির

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ন্যায্য পানি বণ্টন ও আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশের আহ্বান
ন্যায্য পানি বণ্টন ও আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশের আহ্বান

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৫ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় তিন লাখ দক্ষিণ সুদানী: জাতিসংঘ
২০২৫ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় তিন লাখ দক্ষিণ সুদানী: জাতিসংঘ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘নির্বাচনে আনসারের দায়িত্ব পালনের চিত্র হবে ভিন্ন ও পেশাদার’
‘নির্বাচনে আনসারের দায়িত্ব পালনের চিত্র হবে ভিন্ন ও পেশাদার’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৭৫ কোটি পারিশ্রমিকে আল্লু অর্জুন!
১৭৫ কোটি পারিশ্রমিকে আল্লু অর্জুন!

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধ শেষ: ট্রাম্প
গাজা যুদ্ধ শেষ: ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প
হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তানের হামলার নিন্দায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি
আফগানিস্তানের হামলার নিন্দায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেটি পেরি ও ট্রুডোর রোমান্স প্রকাশ্যে
কেটি পেরি ও ট্রুডোর রোমান্স প্রকাশ্যে

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পাক-আফগান সংঘাত, হস্তক্ষেপ করবে সৌদি?
পাক-আফগান সংঘাত, হস্তক্ষেপ করবে সৌদি?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্নীতি ও গাড়িকাণ্ড : ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল বরখাস্ত
দুর্নীতি ও গাড়িকাণ্ড : ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল বরখাস্ত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প
ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেত্রী নয়, এবার যে পরিচয়ে আসছেন ফারিণ
অভিনেত্রী নয়, এবার যে পরিচয়ে আসছেন ফারিণ

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাবি-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ
ঢাবি-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর
‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইস্তিগফারের উপকারিতা
ইস্তিগফারের উপকারিতা

২২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমদিনে টাইফয়েডের টিকা নিলো ১০ লাখ শিশু
প্রথমদিনে টাইফয়েডের টিকা নিলো ১০ লাখ শিশু

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের শান্তি সম্মেলনে থাকছেন না হামাস-ইসরায়েল
ট্রাম্পের শান্তি সম্মেলনে থাকছেন না হামাস-ইসরায়েল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ তালেবানকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
২০০ তালেবানকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প
হামাসকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে সামনে থাকা ২৪ ম্যাচ
বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে সামনে থাকা ২৪ ম্যাচ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?
তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিশরে শান্তি সম্মেলনে ট্রাম্পের সাথে থাকছেন যারা
মিশরে শান্তি সম্মেলনে ট্রাম্পের সাথে থাকছেন যারা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি নয়: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি নয়: ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা
ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা
জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা

১১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’
‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন
ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা
ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা
বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত
জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে
আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর ইস্যু আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে
পিআর ইস্যু আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের
সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ
ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করেছে
আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করেছে

নগর জীবন

অন্তর্বর্তী সরকার অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকার অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে

নগর জীবন

আমার কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই
আমার কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই

নগর জীবন

পাক-আফগান সংঘাতও বন্ধ করতে চান ট্রাম্প
পাক-আফগান সংঘাতও বন্ধ করতে চান ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরায় আজ শুরু হচ্ছে জাতীয় ফার্নিচার মেলা
বসুন্ধরায় আজ শুরু হচ্ছে জাতীয় ফার্নিচার মেলা

নগর জীবন

চমেক হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু
চমেক হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু

নগর জীবন

জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে
জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে

নগর জীবন

তারেক রহমান ভোটের প্রচারে অংশ নেবেন
তারেক রহমান ভোটের প্রচারে অংশ নেবেন

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ
এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ

নগর জীবন

পুলিশের জন্য আট এপিসিসহ ৭৯টি গাড়ি কেনার প্রস্তাব
পুলিশের জন্য আট এপিসিসহ ৭৯টি গাড়ি কেনার প্রস্তাব

পেছনের পৃষ্ঠা

সাময়িক বরখাস্ত সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম
সাময়িক বরখাস্ত সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম

পেছনের পৃষ্ঠা

মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি
মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি

পেছনের পৃষ্ঠা

দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা
দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সামগ্রী বিতরণ
পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সামগ্রী বিতরণ

নগর জীবন

মধ্যরাতে র‌্যাগিং, ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার
মধ্যরাতে র‌্যাগিং, ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

নগর জীবন

সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে
সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে

নগর জীবন

জুলাই আগস্টে মানবতাবিরোধী ব্যাপক অপরাধ
জুলাই আগস্টে মানবতাবিরোধী ব্যাপক অপরাধ

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গুজব, সতর্ক থাকার পরামর্শ কর্তৃপক্ষের
পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গুজব, সতর্ক থাকার পরামর্শ কর্তৃপক্ষের

পেছনের পৃষ্ঠা

উচ্চমাধ্যমিকের ফল ১৬ অক্টোবর
উচ্চমাধ্যমিকের ফল ১৬ অক্টোবর

নগর জীবন

সন্ধ্যা নামলেই ভূতুড়ে ভাঙ্গা গোলচত্বর
সন্ধ্যা নামলেই ভূতুড়ে ভাঙ্গা গোলচত্বর

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৮ নভেম্বর
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৮ নভেম্বর

নগর জীবন

নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত
নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা