শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

মরু দুস্তর পারাবার, কান্ডারি হুঁশিয়ার

ফাইজুস সালেহীন
প্রিন্ট ভার্সন
মরু দুস্তর পারাবার, কান্ডারি হুঁশিয়ার

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাহেবের সোজা কথা, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে হলে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। যারা হাত হারিয়েছেন, তাদের হাত ফিরিয়ে দিতে হবে। তাহলে কী দাঁড়াল? সাত মণ ঘি-ও জুটবে না, রাধাও নাচবে না। জীবন কিংবা হারানো হাত কোনোটাই ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না, অতএব ইলেকশনও হবে না। কথা পরিষ্কার। এখনই ইলেকশনের দরকারটাইবা কী! এমন তো নয় যে ইলেকশন হচ্ছে না বলে মসনদ খালি পড়ে রয়েছে। খালি পড়ে থাকবেও না। ওটা খালি পড়ে থাকার জিনিসও নয়। ক্ষমতায় ভরা থাকে সব সময়। রাম না থাকলে রামের জুতো রাজ্য শাসন করে। জুতো পাহারা দেয় সতালো ভাই ভরত। দস্যু রত্নাকর বাল্মীকি নাম ধারণ করে রচনা করেন এ কাহিনি। হিন্দু পুরানের এ কাহিনির মধ্যে ধর্ম কতখানি আছে সেটা তারাই ভালো জানেন, যারা সেই ধর্মের চর্চা করেন। তবে চিন্তকগণের কাছে এ কাহিনির অর্থ হলো, মসনদ বা সিংহাসন কিংবা গদি কখনোই খালি পড়ে থাকে না। জুতো দিয়ে হলেও সেটা ভরা থাকে। জুতোর ওপর তখন ক্ষমতার ভর আরোপ করা হয়। তাহলে নির্বাচনের ঝামেলা করার দরকার কী? যেমন চলছে চলুক না।

মন্দ কী! চাঁদাবাজি হচ্ছে, খুনাখুনি হচ্ছে, স্ক্রিপ্টেড ড্রামা হচ্ছে, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, বিদেশি মিশনে সিটিং হচ্ছে, অনলাইনে গালিগালাজ হচ্ছে, ক্যাম্পাসে অশ্রাব্য সেøাগানে বাতাস ভারী হচ্ছে, চরিত্রহননের মহোৎসব চলছে ফেসবুকে, নেটিজেনদের বড় একটা অংশ সামাজিক মাধ্যমে মেয়েদের বিশ্রী ভাষায় ট্রল করছে, রাজনীতিকে অশ্লীলতার ভাগাড়ে চুবাতে চাইছে কেউ কেউ, বক্তা সম্পাদকদের চোখ রাঙাচ্ছে। পরিবেশ বাঁচাতে হাঁপিয়ে উঠেছেন এনভায়রনমেন্ট অ্যাডভাইজার, সফেদ পাগড়িওয়ালা যেই চিন্তাবিদ বলেছিলেন গণ অভ্যুত্থানই জনগণের ম্যান্ডেট, এ সরকারই নির্বাচিত সরকার; সেই তিনি-ই এখন বলছেন, এ সরকারের জুলাই সনদ ঘোষণার কোনো অধিকার নেই। অতঃপর আমরা সাধারণ মানুষ যাই কোথায়! এ পরিস্থিতিতে জনগণের জন্য কোনো স্পেস না থাকলেও ইলেকশনের প্রস্তুতি চলছে ঠিকই। রাজনীতি ও অপরাজনীতি মিলে বেশ একটা গরম হাওয়া বইছে বাংলাদেশের শ্যামল প্রান্তরে।

সে যা-ই হোক; নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একই বক্তৃতায় আরও একটি কোটেবল কথা বলেছেন। সেটা হলো, ‘গণমাধ্যম আগে ছিল “হাসিনামাধ্যম”, এখন কী মাধ্যম হয়েছে সেটা বললে চাকরি থাকবে না। গণ অভ্যুত্থানের পরে সব মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে বসেছিলাম, তাদেরকে একটা কথা বলেছিলাম, যারা আকাম করেছেন, ঘরের ভিতরে বসে থাকেন।’

ফাইজুস সালেহীন‘যদি লজ্জা থাকে, ঘরের ভিতর থেকে বের হবেন না। কিন্তু তাদের লজ্জা নাই। তারা বারবার বাংলাদেশের মানুষদের ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে।’

পাটওয়ারী সাহেব গণমাধ্যমের এত বড় একজন অভিভাবক, সেটা জানতাম না। সম্পাদকদের সঙ্গে অতীতে কোনো নেতা এমন কড়া কথা বলেছেন বলেও শুনিনি। পাকিস্তানের লৌহমানব আইউব খান একবার সম্পাদকের পদমর্যাদা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে ডন পত্রিকার সম্পাদক আলতাফ গওহর বলেছিলেন, সম্পাদকের লিখিত কোনো পদমর্যাদা নেই। যদি কোনো পদমর্যাদা নির্দেশ করতে হয়, তাহলে সেটা হতে হবে (প্রেসিডেনশিয়াল সরকারের) প্রেসিডেন্টের সমান। এ কথা শোনার পর আইউব খান আর কোনো রা করেননি। আইউব খান চাইলে রেগেমেগে বলতে পারতেন, ‘গওহর তুমি এখন থেকে গৃহবন্দি।’ কিন্তু তিনি তা বলেননি। কেননা, একনায়ক হলেও তাঁর সেই শিক্ষা ছিল। গণমাধ্যম কাকে বলে সেটা তিনি জানতেন। দৈনিক বাংলায় নির্মল সেন লিখেছিলন ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই।’ এটা পড়ে শেখ মুজিবুর রহমান নাকি ফোন করে নির্মল সেনকে বলেছিলেন, ‘আমি তোমার হাত কেটে দেব।’ পূর্বপরিচিত একজন সিনিয়র সাংবাদিককে বলা কথাটি আর যা-ই হোক গোটা সাংবাদিক কমিউনিটিকে হুমকি দেওয়ার উদ্দেশে তিনি বলেননি। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, প্রফেসর মোজাফফর আহমদ, মণি সিংহ, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান- তাঁদের কেউ কোনো দিন সাংবাদিক কমিউনিটিকে চোখ রাঙিয়ে কথা বলেননি। সম্পাদকদের তো নয়ই। পাটওয়ারী সাহেব ধমকালেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কী এবং কত প্রকার তা তিনি বেশ বুঝিয়ে দিলেন। এ কাজটি যে তিনি অভ্যুত্থানের প্রথম প্রহরেই করেছিলেন তা-ও জানিয়ে দিলেন সগৌরবে। সেজন্য তিনি করতালি পেতেই পারেন। এরকম পরিস্থিতির মধ্যেও ছাপোষা সাংবাদিক হিসেবে দুয়েকটি কথা বলার স্পর্ধা সংবরণ করা কঠিন। শেখ হাসিনার আমলে গণমাধ্যম হয়ে গিয়েছিল হাসিনামাধ্যম। কথা সত্য। সাংবাদিকরাও হাসিনামাধ্যমের কর্মী হয়ে গিয়েছিলেন। তারপরও, দিনের ভোট যে রাতে হয়েছিল, নৌকায় ভোট না দিলে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকিধমকি, বিশ্বজিৎকে মারার খবর, আবরার হত্যার খবর- এমনই অজস্র অন্যায় অপরাধের অথেনটিক সংবাদ কে জাতিকে দিয়েছিল?

সাংবাদিকরা নয় কি? বিরোধী দলের কর্মসূচিতে পুলিশি নির্যাতন, সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বিরোধীদলীয় নেতাদের বক্তব্য, বিভিন্ন সমাবেশের বিস্তারিত নিউজ দেশবাসীর কাছে কারা পৌঁছে দিয়েছিল? এত বড় একটা অভ্যুত্থানের প্রতি মুহূর্তের খবর সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কি দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেয়নি? আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে রিপোর্টার ও ফটোসাংবাদিকরা কি পুলিশের মার খায়নি? সাংবাদিকদের কাউকে কাউকে কারাগারে পাঠানো কি হয়নি? আওয়ামী লীগের ধামাধরা গুটিকতক সাংবাদিক ও সম্পাদক হাত কচলেছেন বলে গোটা কমিউনিটিকে ধমকাবেন! মানলাম, সাংবাদিক ও সম্পাদকরা হাসিনার হয়ে গিয়েছিলেন। এখন যারা সমন্বয়ক, নবীন নেতা, ছাত্রশিবিরের নেতা; তখন কি তাদের অনেকে ছাত্রলীগের পোশাক পরে নিজেদের আড়াল করেননি? শেখ মুজিবকে মহামানব বানিয়ে অনেকে বক্তৃতা করেননি? সেসব বক্তৃতার ভিডিও সমাজমাধ্যমেও প্রচারিত হয়েছে। কেন করেছিলেন? জানি, জবাব তৈরিই আছে। বলা হবে, ভয়ে করেছি, বাধ্য হয়ে করেছি, ছাত্রলীগ না করলে হলে সিট পাওয়া যেত না; আরও কত অজুহাত! সাংবাদিকদের বেলায় যত দোষ। তাদের যেন ভয় থাকতে নেই। আমরা সবাই ভয়ে কাচুমাচু করব আর সাংবাদিকরা সব ভয়কে তুচ্ছ করে মাথা পেতে দেবেন। কেন দেবেন না? তাদের ঘাড়ে তো অনেকগুলো মাথা। একটা কাটা গেলে কী এমন ক্ষতি! খুবই যুক্তির কথা; আহ্লাদের কথাও বটে।

তৎকালীন রাশিয়ার কমরেড জোসেফ স্তালিন একদিন পার্টির বর্ধিত সভায় বক্তৃতা করছিলেন। হল ভর্তি কমরেডস। স্তালিন তাঁর বক্তৃতায় পূর্বসূরি নেতৃত্বের ভুলত্রুটির সমালোচনা করছিলেন। তখন পেছনের সারি থেকে একজন সাহসী ও স্পষ্টভাষী কমরেড দাঁড়িয়ে বললেন, কমরেড এসব আপনি সেই সময়ে বলেননি কেন? স্তালিন থমকে গেলেন। গর্জে উঠলেন, কে! কে প্রশ্ন করল? পুরো হলে নেমে এলো পিনপতন নীরবতা। কেউ আর উঠে দাঁড়িয়ে বললেন না, আমি প্রশ্ন করেছি। কিছুক্ষণ চুপ থেকে স্তালিন হেসে বললেন, আজকে যে কারণে আপনি নিজের পরিচয় দিতে পারছেন না, ঠিক একই কারণে আমিও সেদিন চুপ ছিলাম।

এটা জনশ্রুতি। তাহলেও শিক্ষণীয়। যে কারণে সমন্বয়ক ও ছাত্রশিবিরের অনেকে ছাত্রলীগের পোশাক পরেছিলেন, ঠিক একই কারণে গণমাধ্যমও সেদিন সব কথা বলতে পারেনি। এ কথাটি বোঝার জন্য অতি বড় তাত্ত্বিক হওয়ার প্রয়োজন নেই।

প্রসঙ্গান্তরে যাই, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বা এনসিপি কিংবা ইলেকশন যারা চাইছেন না, তাদের যত পূর্বশর্তই থাকুক না কেন, ঘোষিত টাইমফ্রেমের মধ্যে নির্বাচন হওয়া দরকার। ইলেকশন ছাড়া বিরাজমান অরাজক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। যত দিন যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের শক্তি ততই ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজরা ক্রমে আরও বেশি শক্তিশালী হচ্ছে। পরিস্থিতিদৃষ্টে মনে হচ্ছে এরা নিজেরাই আলাদা একটি দল। যেখানে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সুযোগ আছে সেখানে সব দলের লুটেরারা এক হয়ে যাচ্ছে।

সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটের চলমান প্রক্রিয়ার সঙ্গে নাকি সব দলের নেতারাই এককাট্টা। সারা দেশে কমবেশি একই পরিস্থিতি দৃশ্যমান। সব দলের খবরদারির চাপে পড়ে স্থানীয় প্রশাসন অনেক ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে সরকারের ভিতরে আরও একটি সরকার আছে বলে যে কথা উঠেছে সেটা প্রবলতর হতে পারে। ছায়া সরকার ইলেকশন রহিত করার তৎপরতা বাড়িয়ে দিতে পারে। তখন পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে যাবে। সরকারের ভিতরে আরও একটি সরকার থাকার ধারণাটি যে অমূলক নয়, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কথাতেও তার আভাস পাওয়া যায়। তা নাহলে সরকারের কেউ না হয়েও তিনি কী করে বলেন যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না?

কিন্তু দেশ ও জাতির স্বার্থে ইলেকশন হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনের জোর হাওয়া বইতে শুরু করলে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নে সরকার অনড় অবস্থান গ্রহণ করলে দলগুলোও নিজেদের স্বার্থেই কৌশল পরিবর্তন করবে। এবারের ইলেকশনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে। ইলেকশন সামনে রেখে রাজনীতির নতুন মেরুকরণ শুরু হবে। বড় দুই দল ছোট দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জোট বাঁধার জন্য যোগাযোগ করবে। আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনে যারা বিএনপির সঙ্গে ছিল তারা সম্ভবত এ ইলেকশনেও বিএনপির সঙ্গেই থাকবে। আরও দুয়েকটি দল নতুন জুটতে পারে। সব কটি আসনে এককভাবে ভোট করার সক্ষমতা বিএনপির আছে। তাহলেও কৌশলগত কারণে বড় দলকে অ্যালায়েন্স করতে হয়। এতে ভোটের হিসাবে খুব একটা লাভ হওয়ার নয়। তবে নির্বাচনে জিতে দেশ চালানোর সুযোগ হলে ছোট দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বিরোধী দল যাতে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে, তার জন্য আগেভাগে জোটের শিকল দিয়ে ছোট দলগুলোকে বেঁধে ফেলাই অ্যালায়েন্স গঠনের আসল উদ্দেশ্য। জামায়াতে ইসলামীও ইসলামিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জোট বাঁধার চেষ্টা করবে।

এবারের নির্বাচন বিএনপি বা জামায়াত কারও জন্য সহজ হবে না। অতীতে জনমত প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। এক ভাগ আওয়ামী লীগ আরেক ভাগ বিএনপি। আরেক ভাগে ছিল সাইলেন্ট ভোটার্স। এখন সেই সাইলেন্ট ভোটারের আনুপাতিক হার ৪৮ শতাংশ। এ তথ্য পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক এক জরিপ রিপোর্ট থেকে। এ ৪৮ শতাংশের অধিকাংশের ভোট যে দলের মার্কায় যাবে সেই দলই ভবিষ্যতে সরকার গঠন করবে।

হালফিল বৃহত্তম দল বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এটাই লোকবিশ্বাস। কিন্তু বিএনপি যদি তার উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তাহলে ভিন্ন ফলও হতে পারে। আগেও বলেছি, বিএনপির ওপর মানুষের প্রত্যাশা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। ওয়ান-ইলেভেনের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অনেক বদনাম ছড়ানো হয়েছে। তার বেশির ভাগই ছিল অসত্য কিংবা অতিরঞ্জিত। তবু কিছু লোক যে সেসবে বিভ্রান্ত হননি এমন দাবি করা যাবে না। তাহলেও এ কথা মানতেই হবে যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যেভাবে পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রেখে এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলার যে শক্তি ও সাহস তিনি জুগিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আওয়ামী লীগ শাসনামলে দল ও নেতা-কর্মীদের ওপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গেছে, তার মধ্যে পূর্ণ শক্তি নিয়ে বিএনপির মতো উদার গণতান্ত্রিক একটি দলের টিকে থাকার সংগ্রাম মোটেও সহজ ছিল না। সেই বৈরী সময়ে বিএনপি শুধু টিকেই ছিল না, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আন্দোলন-সংগ্রামের সম্ভাব্য যতগুলো পথ ছিল, তার সব পথে সক্রিয় ছিল দলটি। চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের পাটাতন বিএনপিই তৈরি করেছিল। হয়তো সে কারণেই বিএনপি এখনো জনসমর্থনের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে।

তারপরও সামনের ভোটে বিএনপিকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অনেকে মনে করেন। ৫ আগস্টের পরে বিএনপির গ্রামগঞ্জের একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী নেতা, পাতি নেতা ও কর্মীর চাঁদাবাজি, বালুমহাল, পাথরক্ষেত্র, বাজারঘাট এমনকি টিসিবির কার্ড বিতরণ, ইউনিয়ন পরিষদের বয়স্ক ভাতা, থানা-পুলিশ- সব জায়গায় তাদের বদনজর, কামিয়ে নেওয়ার ধান্দা দলটি সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে চলেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও অন্য নেতাদের আদেশ-নিষেধ ও উপদেশে ওরা কর্ণপাত করছে না। এ শ্রেণির নেতা-কর্মীরা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট সচেতনও নয়। দলীয় আদর্শ ও কমিটমেন্ট সম্পর্কে এদের বিশেষ কোনো ধারণা নেই। এরা অন্যান্য দলের স্থানীয় চান্দাবাজ ও মব মাস্টারদের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে মানুষের ওপর জুলুম করছে। টহল পুলিশের দল এসব লোকের আড্ডাখানায় বসে চা খায়। কিন্তু বদনাম হচ্ছে বিএনপির সবচেয়ে বেশি।

 

এ কথাগুলো আগেও একাধিকবার বলেছি। আবার বললাম মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। জরিপ বলছে ৪৮ শতাংশ ভোটার কোন মার্কায় সমর্থন দেবেন, সিদ্ধান্ত নেননি। এ ৪৮ পার্সেন্ট কারা? অনুমান করি এদের বড় একটা অংশ বিএনপির সমর্থক ছিলেন। এখন কাজকারবার দেখে হয়তো চুপ হয়ে গেছেন। হয়তো সমর্থন বদলানোর কথাও ভাবছেন। মনে রাখতে হবে, এ দেশের মানুষ ঠকতে ঠকতে খুব সাবধান হয়ে গেছেন। সিঁদুরে মেঘ দেখে ভাবেন আগুন লাগল কি না! শেখ হাসিনা কী সাংঘাতিক ব্লাফই না দিয়েছেন এ দেশের মানুষকে। ১৯৯৬ সালে তিনি হিজাবপরা দরবেশ হয়ে গিয়েছিলেন। দিন বদলের ইশতেহার দিয়েছিলেন। মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার চমৎকার রূপরেখা দিয়েছিলেন। নৌকার মিছিলে তখন সেøাগান ছিল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, নৌকার মালিক তুই আল্লাহ। ভুলত্রুটি ক্ষমা চাই, নৌকায় ভোট চাই। সেই নৌকা ভোটের দরিয়া পার হয়ে গেলে আওয়ামী লীগ জনগণকে তার ধারালো দাঁত দেখাতে শুরু করল। ১৫ বছরের সেই ইতিহাস গুম, খুন ও লুণ্ঠনের ইতিহাস। ভোটের অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এদিকে বৈষম্য বিলোপের কথা বলে বৈষম্যবাদ কায়েম করার নকশাও তো মানুষ দেখছে। কাজেই সামনের ভোটে মানুষের মন জয় করতে হলে নিজেদের মন বদলাতে হবে। মন না বদলালে সুশাসন আসবে না। দেশ ও সমাজেরও কোনো উন্নতি হবে না।

 

                লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংযোগ
গ্যাসসংযোগ
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি
নিরাপদ খাদ্য-পানীয় ওষুধ নাগরিকের মৌলিক অধিকার
নিরাপদ খাদ্য-পানীয় ওষুধ নাগরিকের মৌলিক অধিকার
ভিন্নমত দমন
ভিন্নমত দমন
সংসদ নির্বাচন
সংসদ নির্বাচন
বিনিয়োগে মন্দাবস্থা
বিনিয়োগে মন্দাবস্থা
ইসলাম ভ্রাতৃত্ববোধের প্রতি গুরুত্ব দেয়
ইসলাম ভ্রাতৃত্ববোধের প্রতি গুরুত্ব দেয়
বরফের রাজ্য আলাস্কা
বরফের রাজ্য আলাস্কা
ড. ইউনূস এখন কী করবেন
ড. ইউনূস এখন কী করবেন
অবৈধ অস্ত্রের দাপট
অবৈধ অস্ত্রের দাপট
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন
ইসলামের দৃষ্টিতে সমাজ সংস্কার
ইসলামের দৃষ্টিতে সমাজ সংস্কার
সর্বশেষ খবর
লুট হওয়া ৪০ হাজার ঘনফুট পাথর সারুলিয়া থেকে উদ্ধার
লুট হওয়া ৪০ হাজার ঘনফুট পাথর সারুলিয়া থেকে উদ্ধার

৪২ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

বগুড়া মিডিয়া অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি ঢাকার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
বগুড়া মিডিয়া অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি ঢাকার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

৪৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

নারী উন্নয়ন শক্তির ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
নারী উন্নয়ন শক্তির ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

৫৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

জামিনে কারামুক্ত শমী কায়সার
জামিনে কারামুক্ত শমী কায়সার

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ডিএমপির সব থানায় অনলাইন জিডি চালু
ডিএমপির সব থানায় অনলাইন জিডি চালু

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতির সমন্বিত রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন
ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতির সমন্বিত রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জেনেভায় প্লাস্টিক দূষণ রোধে বৈশ্বিক চুক্তি অনিশ্চিত
জেনেভায় প্লাস্টিক দূষণ রোধে বৈশ্বিক চুক্তি অনিশ্চিত

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নাটোরে গোসলে নেমে প্রাণ গেল দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর
নাটোরে গোসলে নেমে প্রাণ গেল দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উদ্ভাবন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কমনওয়েলথ স্কলারদের অভিজ্ঞতা বিনিময়
উদ্ভাবন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কমনওয়েলথ স্কলারদের অভিজ্ঞতা বিনিময়

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাবির হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি বহাল থাকবে : রাকিব
ঢাবির হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি বহাল থাকবে : রাকিব

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা শেষ পর্যন্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা শেষ পর্যন্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে : নবীউল্লাহ নবী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিস্ফোরক মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
বিস্ফোরক মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুড়িগ্রামে নকলসহ ধরা ৬ শিক্ষার্থী, কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার
কুড়িগ্রামে নকলসহ ধরা ৬ শিক্ষার্থী, কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি কাবাডি প্রতিযোগিতা সমাপ্ত
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি কাবাডি প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের সামনে অস্ত্র বের করলে গুলির নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
পুলিশের সামনে অস্ত্র বের করলে গুলির নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাটোরের ঐতিহ্যবাহী নারদ নদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্বোধন
নাটোরের ঐতিহ্যবাহী নারদ নদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্বোধন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার উপরে
কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার উপরে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খুলশী থানার ওসিকে বদলি
খুলশী থানার ওসিকে বদলি

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোংলায় উপজেলা ভূমি কমিটি গঠন
মোংলায় উপজেলা ভূমি কমিটি গঠন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামিনে মুক্ত সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন
জামিনে মুক্ত সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভালুকায় ডাল কাটতে গিয়ে দিনমজুরের মৃত্যু
ভালুকায় ডাল কাটতে গিয়ে দিনমজুরের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারত, আওয়ামী লীগ, জামায়াত— দেশের মূল শত্রু: মুক্তিযোদ্ধা দল
ভারত, আওয়ামী লীগ, জামায়াত— দেশের মূল শত্রু: মুক্তিযোদ্ধা দল

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গড়ে উঠেছিল নতুন বসতি: পম্পেই খননে নতুন তথ্য
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গড়ে উঠেছিল নতুন বসতি: পম্পেই খননে নতুন তথ্য

৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নতুন বিশেষ ভিসা চালু করছে চীন
নতুন বিশেষ ভিসা চালু করছে চীন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে লটারি মাধ্যমে ৪০ জন 
ওএমএস ডিলার নিয়োগ
গাজীপুরে লটারি মাধ্যমে ৪০ জন  ওএমএস ডিলার নিয়োগ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শাপলার অবদান কেউ মুছে ফেলতে পারবে না’
‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শাপলার অবদান কেউ মুছে ফেলতে পারবে না’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দুদকের
মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দুদকের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঝিলমিল প্রকল্পে ১৫ গাড়ি চালকের নামে বরাদ্দকৃত প্লট বাতিল
ঝিলমিল প্রকল্পে ১৫ গাড়ি চালকের নামে বরাদ্দকৃত প্লট বাতিল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হবে না’
‘জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হবে না’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
সাদাপাথরে বিছিয়ে দেওয়া হলো জব্দকৃত ১২ হাজার ঘনফুট পাথর
সাদাপাথরে বিছিয়ে দেওয়া হলো জব্দকৃত ১২ হাজার ঘনফুট পাথর

১৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ে কমিশনের প্রথম সভা আজ
সরকারি কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ে কমিশনের প্রথম সভা আজ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর গ্রেফতার
সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে রাশিয়া ‘খুবই গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করবে: ট্রাম্প
যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে রাশিয়া ‘খুবই গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করবে: ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়ল ৫০ শতাংশ
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়ল ৫০ শতাংশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের রায় লেখা হয় আইন মন্ত্রণালয়ে: হুম্মাম
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের রায় লেখা হয় আইন মন্ত্রণালয়ে: হুম্মাম

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টিকটকার প্রিন্স মামুন আবারও গ্রেফতার
টিকটকার প্রিন্স মামুন আবারও গ্রেফতার

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জামিনে মুক্ত সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন
জামিনে মুক্ত সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী সপ্তাহেই সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি সচিব
আগামী সপ্তাহেই সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি সচিব

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার
কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার

১২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

৭ ‌‘মৃত ভোটারের’ সঙ্গে চা খেলেন রাহুল গান্ধী
৭ ‌‘মৃত ভোটারের’ সঙ্গে চা খেলেন রাহুল গান্ধী

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে মোদির ওপর নাখোশ ট্রাম্প, জানালেন ভারতীয় কূটনীতিক
যে কারণে মোদির ওপর নাখোশ ট্রাম্প, জানালেন ভারতীয় কূটনীতিক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁদাবাজির ঘটনায় কোনো উপদেষ্টা জড়িত কিনা, স্পষ্ট করা দরকার : সালাহউদ্দিন
চাঁদাবাজির ঘটনায় কোনো উপদেষ্টা জড়িত কিনা, স্পষ্ট করা দরকার : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রেস সচিবের দায়িত্ব শেষে সাংবাদিকতায় ফিরে যাব: শফিকুল আলম
প্রেস সচিবের দায়িত্ব শেষে সাংবাদিকতায় ফিরে যাব: শফিকুল আলম

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাগদান সারলেন শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন, পাত্রী কে
বাগদান সারলেন শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন, পাত্রী কে

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এবার নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের ঘোষণা দিল নরওয়ে
এবার নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের ঘোষণা দিল নরওয়ে

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে নিয়োগ পেলেন পাঁচ শিক্ষাবিদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে নিয়োগ পেলেন পাঁচ শিক্ষাবিদ

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ আগস্ট)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ আগস্ট)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, ১৫ কারখানা ছুটি ঘোষণা
আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, ১৫ কারখানা ছুটি ঘোষণা

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সাদা পাথর লুটের ঘটনায় করা রিটের শুনানি রবিবার
সাদা পাথর লুটের ঘটনায় করা রিটের শুনানি রবিবার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার যমুনা সেতু অবরোধ করল শিক্ষার্থীরা, উত্তরবঙ্গ-ঢাকা যোগাযোগ বন্ধ
এবার যমুনা সেতু অবরোধ করল শিক্ষার্থীরা, উত্তরবঙ্গ-ঢাকা যোগাযোগ বন্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ জেলায় বন্যার সতর্কতা
৮ জেলায় বন্যার সতর্কতা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকির পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতের হুঁশিয়ারি
পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকির পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতের হুঁশিয়ারি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেকটি ১/১১-এর ক্ষেত্র তৈরি করবেন না : জামায়াতের নায়েবে আমির
আরেকটি ১/১১-এর ক্ষেত্র তৈরি করবেন না : জামায়াতের নায়েবে আমির

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সত্যিই কি ফিলিস্তিনিদের ‘বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র’ দেশে পাঠাতে চায় ইসরায়েল
সত্যিই কি ফিলিস্তিনিদের ‘বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র’ দেশে পাঠাতে চায় ইসরায়েল

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নীল নদ থেকে ফোরাত : আরব বিশ্বের জন্য হুমকি নেতানিয়াহুর যে সম্প্রসারণবাদী স্বপ্ন
নীল নদ থেকে ফোরাত : আরব বিশ্বের জন্য হুমকি নেতানিয়াহুর যে সম্প্রসারণবাদী স্বপ্ন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পর্যটন শহরের বিষফোঁড়া এখন রোহিঙ্গা কিশোর গ্যাং
পর্যটন শহরের বিষফোঁড়া এখন রোহিঙ্গা কিশোর গ্যাং

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী গঠন করছে পাকিস্তান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী গঠন করছে পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন বিশেষ ভিসা চালু করছে চীন
নতুন বিশেষ ভিসা চালু করছে চীন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইলস্টোন ট্রাজেডি: শিক্ষিকা মাহফুজাও মারা গেছেন
মাইলস্টোন ট্রাজেডি: শিক্ষিকা মাহফুজাও মারা গেছেন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
কী থাকছে ভোটের রোডম্যাপে
কী থাকছে ভোটের রোডম্যাপে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাদাপাথরের কেরামতি
সাদাপাথরের কেরামতি

প্রথম পৃষ্ঠা

এক বছরে দেড় লাখ ফোনকল রেকর্ড
এক বছরে দেড় লাখ ফোনকল রেকর্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে লড়তে চান তিন নেতা জামায়াত খেলাফতের প্রার্থী চূড়ান্ত
বিএনপি থেকে লড়তে চান তিন নেতা জামায়াত খেলাফতের প্রার্থী চূড়ান্ত

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ঘাম ঝরাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটছেন গ্রাম থেকে গ্রামে
ঘাম ঝরাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটছেন গ্রাম থেকে গ্রামে

নগর জীবন

‘ত্রিরত্নে’র বিদেশে সম্পদের পাহাড়
‘ত্রিরত্নে’র বিদেশে সম্পদের পাহাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে বাড়ছে ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া
সারা দেশে বাড়ছে ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

কর্মচারীদের ধাওয়া হাসপাতাল ত্যাগ অনশনকারীদের
কর্মচারীদের ধাওয়া হাসপাতাল ত্যাগ অনশনকারীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আজ ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘উইশ কার্ড’
আজ ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘উইশ কার্ড’

শোবিজ

খালেদা জিয়ার জন্মদিন আজ
খালেদা জিয়ার জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ফুটবলে মেয়েদের চোখ আরেক ট্রফিতে
ফুটবলে মেয়েদের চোখ আরেক ট্রফিতে

মাঠে ময়দানে

কিংসের শক্তি বেড়েছে কমেছে মোহামেডানের
কিংসের শক্তি বেড়েছে কমেছে মোহামেডানের

মাঠে ময়দানে

বাড়ছেই নদনদীর পানি, ডুবছে নতুন নতুন এলাকা
বাড়ছেই নদনদীর পানি, ডুবছে নতুন নতুন এলাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে ফিরছেন তুষি
অবশেষে ফিরছেন তুষি

শোবিজ

ফেক ফেসবুক আইডিতে বিব্রত তারকারা
ফেক ফেসবুক আইডিতে বিব্রত তারকারা

শোবিজ

রেকর্ড আমদানি সত্ত্বেও খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে দেশ
রেকর্ড আমদানি সত্ত্বেও খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র সুরক্ষিত রাখা হবে
বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র সুরক্ষিত রাখা হবে

নগর জীবন

২৬ বছর পর ক্যামেরার সামনে চিত্রনায়িকা শবনম
২৬ বছর পর ক্যামেরার সামনে চিত্রনায়িকা শবনম

শোবিজ

প্লাস্টিকদূষণ চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের
প্লাস্টিকদূষণ চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই অপুর স্ত্রী যা বললেন
সেই অপুর স্ত্রী যা বললেন

প্রথম পৃষ্ঠা

কক্সবাজারকাণ্ডে উত্তপ্ত এনসিপির সাধারণ সভা
কক্সবাজারকাণ্ডে উত্তপ্ত এনসিপির সাধারণ সভা

প্রথম পৃষ্ঠা

৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায় একজন গ্রেপ্তার
৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায় একজন গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

রাষ্ট্রপতির শপথ নিয়ে সাত অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ
রাষ্ট্রপতির শপথ নিয়ে সাত অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুৎ-গ্যাসসংকট বড় চ্যালেঞ্জ
বিদ্যুৎ-গ্যাসসংকট বড় চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা জড়িত কি না স্পষ্ট হওয়া দরকার
উপদেষ্টা জড়িত কি না স্পষ্ট হওয়া দরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বনানীতে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বনানীতে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের দুটি বাড়ির খোঁজ
যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের দুটি বাড়ির খোঁজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাদলা দিনে
বাদলা দিনে

ডাংগুলি

মৃত্যুর নামতা
মৃত্যুর নামতা

সাহিত্য