যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে পারে এমন খবর চাউর হয়েছে। ফলে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এসেছে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও সতর্কবার্তা। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রবিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া বার্তায় বলেছেন, এটি এখন সত্যিই অত্যন্ত নাটকীয়। চারদিক থেকেই উত্তেজনা বাড়ছে।
পেসকভ বলেন, টমাহক আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। যদি এমন কোনও ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার দিকে নিক্ষেপ করা হয়, আমরা জানব না সেটি প্রচলিত নাকি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করছে। সেই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া কী হওয়া উচিত, তা আন্তর্জাতিক সামরিক বিশেষজ্ঞদের ভাবা উচিত।
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ২৫০০ কিলোমিটার। ফলে ইউক্রেন মস্কোসহ রাশিয়ার অভ্যন্তরে গভীর হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করবে। মার্কিন কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস জানিয়েছে, টমাহকের কিছু পুরনো সংস্করণ পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়ার আগে জানতে চাই তারা সেগুলো দিয়ে কী করতে চায়। আমি যুদ্ধকে আরও বাড়াতে চাই না। তবে আমি ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কাছাকাছি পৌঁছেছি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগেই সতর্ক করে দিয়েছেন, টমাহক ব্যবহার করা সম্ভব নয় যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া। তাই এই ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে দিলে তা যুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
ফিনান্সিয়াল টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে রুশ জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর দীর্ঘ-পাল্লার হামলা পরিকল্পনায় সহায়তা করছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ইউক্রেনকে রুট, উচ্চতা, ও মিশনের সময় নির্ধারণে সহায়তা দিচ্ছে যাতে তাদের আক্রমণাত্মক ড্রোনগুলো রুশ বিমান প্রতিরক্ষা এড়াতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এখন ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত। রাশিয়া মনে করছে এটি শুধু ইউক্রেন নয় বরং পুরো পশ্চিমা জগতের সঙ্গে সংঘাতো পরিণত হয়েছে।
অন্যদিকে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা বলছে, এটি রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী ভূমি দখলের যুদ্ধ। আর তাদের লক্ষ্য কিয়েভকে সম্পূর্ণ বিজয়ে পৌঁছে দেওয়া।
সূত্র: রয়টার্স, এনডিটিভি, ফিনান্সিয়াল টাইমস
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল