জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, চিহ্নিত অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করাই হবে সেনাবাহিনীর পেশাদারত্বের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। ন্যায়বিচার সেনাবাহিনীর মর্যাদা সুরক্ষার জন্য জরুরি। কোনো ব্যক্তিবিশেষের বিচ্ছিন্ন অপকর্মের দায়ভার কোনোভাবেই সমগ্র প্রতিষ্ঠানের নয়। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া বিবৃতিতে আ স ম রব বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে অপরাধীদের প্রশ্রয় দিলে তা সমগ্র কাঠামোর ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়। সম্প্রতি যে ধরনের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে এবং যার ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল পরোয়ানা জারি করেছে, সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে এর নেতিবাচক প্রভাব সমগ্র প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারে। এ প্রতিষ্ঠানকে দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী, সুরক্ষিত ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে হলে ব্যক্তিবিশেষের অপরাধের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে।তিনি আরও বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী সার্বভৌমত্বের প্রতীক। জাতি প্রত্যাশা করে যেকোনো পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী তার পেশাদারত্ব, কঠোর শৃঙ্খলা এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব অক্ষুণ্ন রাখবে। সামরিক বাহিনী একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বদা দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবে এবং কেবল জাতীয় স্বার্থ ও আইনের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে। এ ধরনের চ্যালেঞ্জিং সময়ে সেনাবাহিনীকে আরও বেশি করে পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে কোনো সরকার বা ব্যক্তি ভবিষ্যতে একে গুম, খুন বা অন্য কোনো অসাংবিধানিক ও অনৈতিক কাজে ব্যবহার করার সুযোগ না পায়। আ স ম রব বলেন, সেনাবাহিনীর বিকাশ কেবল সামরিক শক্তিতে নয় বরং মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আইনের শাসনের প্রতি তার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়েই নিশ্চিত হবে। সামরিক বা বেসামরিক কোনো ব্যক্তিই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা প্রজাতন্ত্রের ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করবে।