প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘আমরা চাই একটি স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে। লুকানো কোনো নির্বাচন দিতে চাই না। রাতের অন্ধকারের ভোট চাই না। আমরা চাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন- সবার দৃষ্টিগোচর হয় এমন নির্বাচন।’ গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় এনসিপির শাপলা প্রতীকের দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো দল নিবন্ধন যখন পায়, আমাদের যে নির্ধারিত প্রতীকের তালিকা- সেখান থেকে প্রতীক নিতে হয়। যেহেতু শাপলা আমাদের তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি। এখন পর্যন্ত তালিকার বাইরে কাউকে প্রতীক দেওয়া হয়নি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপিকে উদ্দেশ করে সিইসি বলেন, ‘যারা এনসিপির নেতৃত্বে আছেন তারা ২০২৪-এর আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে থেকে আন্দোলন করেছেন। তারা গণতন্ত্রায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন না- সেটা আমি বিশ্বাস করি। আমি তাদের কোনো অংশে কম দেশপ্রেমিক ভাবতে চাই না। তারাও দেশের ভালো চান, তারাও দেশের গণতন্ত্র চান, আমার বিশ্বাস গণতন্ত্রের উত্তরণটা যাতে সুন্দর হয় সে বিষয়ে তারা সম্মতি দেবেন। তারা আমাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানেন।’
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এআই সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়, এটি বিশ্বের সমস্যা। এআই-এর ৫০ শতাংশ সোর্স শনাক্ত করা যায় না। আলোচনায় কেউ কেউ বলেছেন ইন্টারনেট বন্ধ করতে। আমরা ইন্টারনেট বন্ধের পক্ষে নই। আমি চাই, তথ্য প্রবাহ বজায় থাকুক।’ এ সময় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন, সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।