ময়মনসিংহ জেলা মালিক-শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের কারণে নেত্রকোনা থেকে দূরপাল্লার সব যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও গাজীপুরগামী যাত্রীরা, বিশেষ করে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা সাধারণ মানুষ, গার্মেন্টস কর্মী ও নিম্নআয়ের চাকরিজীবীরা।
রবিবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকেই নেত্রকোনা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে যাত্রীরা এসে বিপাকে পড়েন। অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া গুনে সিএনজি, পিকআপ বা অন্যান্য বিকল্প যানবাহনে করে যাত্রা করছেন। তবে নিরাপত্তাহীনতা ও যাত্রাপথে বিপদের আশঙ্কায় কেউ কেউ ভ্রমণ থেকে বিরতও থাকছেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, বাস বন্ধ থাকার সুযোগে কিছু সিএনজি চালক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। ফেসবুকে হাবিব তালুকদার নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, সাধারণ সময়ে ৮০ টাকার ভাড়া এখন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।
তবে সিএনজি চালক ও পিকআপ চালকদের অনেকেই বলছেন, তারা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সহনীয় ভাড়ায় সহায়তা করছেন যাতে মানুষ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।
বাস চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়ে নেত্রকোনা আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড শ্রমিক কমিটির প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাজন বলেন, ‘জেলার নেতাদের নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে যাত্রীদের যেমন ভোগান্তি হচ্ছে, তেমনি আমরাও ক্ষতির মুখে পড়েছি। তবে আলোচনা চলছে, দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করছি।’
শ্রমিক কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মোতালিব জানান, ‘নেত্রকোনা থেকে ঢাকাগামী প্রায় ৬০টি গেইট লক বাস, ‘ভাটিবাংলা’র আরও ৬০টি, এছাড়াও অন্যান্য মিলে প্রায় ১০০-১৫০টি বাস এবং ময়মনসিংহ রুটের ‘মহুয়া’ বাসের আরও ৬০-৭০টি গাড়ি রয়েছে- সবগুলোই বন্ধ রয়েছে। এছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলা থেকেও কোনো বাস ছাড়েনি।’
তিনি আরও জানান, বিকেলের দিকে বাস চলাচল শুরু হতে পারে বলে আশা করছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ