একবিংশ শতাব্দীর সেরা ১৫টি টেস্ট সিরিজের তালিকা প্রকাশ করেছে ‘ক্রিকেটের বাইবেল’খ্যাত মর্যাদাপূর্ণ ম্যাগাজিন উইজডেন। যেখানে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের দু’টি ভিন্ন স্বাদের স্মৃতি-একটি জয়ে ভরপুর এবং আরেকটি তিক্ত হারের।
উইজডেনের একবিংশ শতাব্দীর সেরা টেস্ট সিরিজের তালিকায় ১৫ নম্বরে রয়েছে ২০১৬ সালের বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজ। এছাড়া ২০২১ সালে কোভিড-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটি তালিকার ৭ম স্থানে রয়েছে।
দুই ম্যাচের এই সিরিজেই অভিষেক হয়েছিল তরুণ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে সাব্বির রহমানের সাহসী ব্যাটিংয়ের পরও জয় হাতছাড়া হয় টাইগারদের।
তবে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে মিরাজের ঘূর্ণিতে ইতিহাস রচনা হয়। ২৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১০০ থেকে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। মিরাজ একাই নেন ৬ উইকেট, বাকি চারটি ভাগ করে নেন সাকিব আল হাসান, নিশ্চিত হয় ১০৮ রানের ঐতিহাসিক জয়।
আরও উঁচুতে, ৭ম স্থানে জায়গা পেয়েছে ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফর। কোভিড পরবর্তী সময়ে অনেকে ভেবেছিল দুর্বল স্কোয়াড নিয়ে আসা ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে জয় সম্ভব নয়। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টে কাইল মেয়ার্সের অবিশ্বাস্য ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৩ উইকেটে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে ওঠে, তবে শেষ হাসি হাসে অতিথিরা, ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয়।
তালিকার অন্য উল্লেখযোগ্য সিরিজের মধ্যে রয়েছে সর্বশেষ অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি, যেখানে ইংল্যান্ড ও ভারতের পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়, এটি আছে ৫ নম্বরে। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ২০২৩ সালের অ্যাশেজ, যা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একই ব্যবধানে ড্র হয়েছিল।
সবশেষে, একুশ শতকের সেরা টেস্ট সিরিজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ২০২০-২১ মৌসুমে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফর। প্রথম টেস্টে মাত্র ৩৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরও ভারত ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। উইজডেনের মতে, এটি প্রত্যাবর্তনের সবচেয়ে সুন্দর গল্প।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত