বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনের আগে সরকারের মধ্য থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে। যেহেতু নির্বাচনের আগে আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না, সেহেতু এ সরকারকে শিগগিরই ‘কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে’। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, একটা শান্তিপূর্ণ ট্রানজিশন হোক। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। উনার তো সম্মানের সঙ্গে যেতে হবে। আমরা সেটাই চাই। কিন্তু কিছু লোকের কার্যকলাপের মাধ্যমে সেটা যদি বিঘ্নিত হয়, সেজন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলেছি, আপনারা পুরোপুরি ‘কেয়ারটেকার’ মুডে চলে যান। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, প্রয়াত মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে রিটা রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ হোসেন আলমগীর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আমীর খসরু বলেন, আমাদের ভূরাজনৈতিক যে কৌশল, সেই কৌশল আমরা নির্ধারণ করব। কারও কথামতো সে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এ বিষয়গুলোকে আমরা নিশ্চিতভাবে ভিত্তি করে আগামী বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে নিশ্চিত করব। এটাই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি। তিনি বলেন, নির্বাচনের পূর্ব শর্ত হচ্ছে নিরপেক্ষতা। গত ১৭ বছর আমরা লড়াই করেছি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। নিরপেক্ষতা না থাকলে অশুভ শক্তিগুলো শক্তিশালী হয়ে যাবে, যা আমি বিভিন্ন সময়ে বলেছি। যেহেতু নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না, সেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাদের অবদান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাদের সরিয়ে দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেয়ারটেকার সরকারের জায়গায় অবতীর্ণ হওয়ার অর্থ হচ্ছে পুরোপুরি নিরপেক্ষ অবস্থানে যাওয়া। গত এক-দেড় বছরে সরকারের বিভিন্ন জায়গায় অনেক বদলি হয়েছে। এসবের কিছু কিছু বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সে কারণে এ জায়গাগুলো ঠিক করতে হবে। কেয়ারটেকার সরকারের যে চরিত্র তা সংবিধানে বলা আছে। কেয়ারটেকার সরকার কীভাবে পরিচালিত হবে সেটাও সংবিধানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে । সুতরাং এ সরকারকে যেহেতু কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকা পালন করতে হবে আগামী নির্বাচনে, তাই তাদের এই মুহূর্ত থেকে কেয়ারটেকার সরকারের বৈশিষ্ট্য পালন করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা ধরনের কার্যক্রম আমরা মাঠে দেখতে পাচ্ছি। বিএনপি বড় দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
শিরোনাম
- রাজধানীতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাত, দুই কলেজ শিক্ষার্থী আহত
- শাপলা না দেওয়ার আইনি ব্যাখ্যা দিলে অন্য প্রতীক বিবেচনা করা হবে: নাহিদ
- দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কিনছে সরকার
- একটি মার্কায় বেহেশতের গ্যারান্টি, প্রতারণা ছাড়া কিছু নয় : আমান উল্লাহ
- মাঝ আকাশে জ্বালানি লিক, ইন্ডিগো বিমানের জরুরি অবতরণ
- স্বর্ণের দাম কমেছে
- জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল পেরু, রাজধানীতে জরুরি অবস্থা
- বৃহস্পতিবার সিইসির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি
- আফগানিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানে হারালো জিম্বাবুয়ে
- অক্টোবরের ২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৮৫ কোটি ডলার
- ৫০০ বছরে প্রথম, পোপের সঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নেবেন ব্রিটিশ রাজা
- সিরিয়া পুনর্গঠনে ব্যয় হবে ২১৬ বিলিয়ন ডলার: বিশ্বব্যাংক
- এএফডি ও বিআইআইএসএস-এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় সেমিনার
- নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না : নাহিদ
- একের পর এক পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র : আব্দুস সালাম
- নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক
- সেন্টমার্টিনে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের লক্ষ্যে নতুন ১২ নির্দেশনা
- জার্মান চ্যান্সেলরের বিরুদ্ধে তরুণীদের বিক্ষোভ
- শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ, রায়ের দিন ধার্য হবে কাল
- ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার : প্রধান উপদেষ্টা
প্রকাশ:
০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
আপডেট:
০১:৪১, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর