তেহরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়েছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেছিলেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংসের দাবি নিছক কল্পনা ছাড়াই কিছু নয়। স্বপ্ন দেখতেই থাকুন।
আয়াতুল্লাহ খামেনির এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র থেকে বঞ্চিত রাখতে কূটনীতিকে প্রাধান্য দেবে ওয়াশিংটন।
ইসরায়েল সফরে গিয়ে মঙ্গলবার জেরুজালেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেডি ভ্যান্স আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চান, তবে পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ইরান যেন কখনও পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে এটাই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য অর্জনে সব ধরনের কূটনৈতিক পথ ব্যবহার করা হবে।
এছাড়া হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় লন্ডনভিত্তিক ইরান ইন্টারন্যাশনালকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখনও ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র তুলে দেবেন না।
এর আগে, গত সোমবার এক ভাষণে খামেনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে থাকেন যে তিনি একজন সফল চুক্তিপ্রণেতা। কিন্তু যদি কোনো চুক্তির সাথে জবরদস্তি থাকে এবং এর ফলাফল পূর্বনির্ধারিত থাকে, তাহলে সেটা কোনো চুক্তি নয় বরং জোরজবরদস্তি ও হুমকি।
খামেনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট গর্বের সাথে বলছেন যে, তারা ইরানের পারমাণবিক শিল্পে বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন। খুব ভালো কথা, আপনারা এমন স্বপ্ন দেখতে থাকুন! ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা আছে কি নেই তার সাথে আমেরিকার কী সম্পর্ক? এই হস্তক্ষেপগুলো অনুচিৎ, ভুল ও জবরদস্তিমূলক।
সূত্র : ইরান ইন্টারন্যাশনাল।
বিডি-প্রতিদিন/শআ