বিরল খনিজে চীনের একাধিপত্য ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ৮৫০ কোটি ডলারের একটি চুক্তিতে সই করেন। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। খবর সিএনবিসির।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেন, খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ দেশগুলো শিল্প ও সরবরাহ শৃঙ্খলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা নেবে, এটাই বৈশ্বিক অর্থনীতির স্বাভাবিক পথ।
চীনের এ বার্তায় কোনো শঙ্কা প্রকাশ পায়নি বরং নিজেদের অর্থনৈতিক সামর্থ্যের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনেও বিরল খনিজের ক্ষেত্রে চীনের ব্যাপক সক্ষমতার বিষয়টি উঠে এসেছে।
সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদন মতে, চীনের বিরল খনিজের ওপর নির্ভরতা কমাতে পশ্চিমা দেশগুলোর সময় লাগবে কমপক্ষে এক দশক। কারণ চীন শুধু খনিই নয়, খনিজ প্রক্রিয়াকরণ, পরিশোধন ও ম্যাগনেট উৎপাদনের পুরো শৃঙ্খল নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে।
আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের জোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আগামী এক দশকের মধ্যে বিরল খনিজ বাণিজ্যে চীনের আধিপত্য কমানো সম্ভব হবে না। বর্তমানে বৈশ্বিক বিরল খনিজের ৭০ শতাংশ ও প্রক্রিয়াকরণের ৯০ শতাংশই চীনের নিয়ন্ত্রণে। তবুও যুক্তরাষ্ট্র–অস্ট্রেলিয়া চুক্তি ইঙ্গিত দিচ্ছে, পশ্চিমা দেশগুলো এখন চীনের বিকল্প গড়ে তোলার দিকেই মনোযোগী হচ্ছে। তারা এই লক্ষ্য পূরণে অর্থ বিনিয়োগেও প্রস্তুত।
আল-জাজিরার ওই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র বছরে প্রায় ১০ হাজার টন এবং ইউরোপ ২৫ হাজার টন বিরল খনিজ চুম্বক চীন থেকে আমদানি করে। এ চাহিদা আগামী দশকে আরও বহুগুণে বাড়বে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ