গলফের জীবন্ত কিংবদন্তি ররি ম্যাকলরয়ের খেলা দেখে গলফে আগ্রহী হয়ে ওঠেন শেখ মোহাম্মদ সামির হোসেন। জুনিয়র লেবেলে ৫০টির বেশি ট্রফি জিতে এখন অ্যামেচার গলফার হিসেবে নাম কুড়াচ্ছেন। চিপিং, পাটিং, সুইংয়ে অনুসরণ করেন ম্যাকলরয়কে। ক্যারিয়ারে জিততে চান ইউরোপিয়ান ট্যুর, পিজিএ ট্যুরের মতো গলফের সেরা সেরা আসর। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় এ অ্যামেচার গলফার তৃতীয় এশিয়ান ইয়ুথ গেমসে অংশগ্রহণ করছেন। ব্যক্তিগত ও দলগত ইভেন্টে লড়াই করবেন সামির। এ আসরে দেশকে উপহার দিতে চান সোনার পদক।
সামির বলেন, ‘আমার এখন একটাই লক্ষ্য, বাহরাইনের মাটিতে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা তুলে ধরা। আমি গোল্ড মেডেল জিততে চাই। আমাদের দলটা অনেক ভালো। আমি এ ইয়ুথ গেমসে দুই মাস থেকে কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। সকাল ৬টায় কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে এসেছি। শেষ করেছি রাত ৮টায়। এ মুহূর্তে আমার ধ্যানজ্ঞান ইয়ুথ গেমস।’ গলফে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সামির বলেন, ‘শুধু এশিয়ান ট্যুর নয়, আমি পিজিএ ট্যুর এবং ইউরোপিয়ান ট্যুরও জিততে চাই। আমি নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছি। বাংলাদেশের পতাকা বিশ্বদরবারে উঁচিয়ে ধরতে চাই।’ সামির জুনিয়র লেভেলে কয়েকটি দেশ সফর করেছেন। মালয়েশিয়ায় খেলেছেন দুবার। চীনে খেলেছেন একবার। বড় কোনো সাফল্য এখনো আসেনি নবম শ্রেণিতে পড়া সামিরের। তবে খুব শিগগিরই গলফ দুনিয়ায় নিজের স্থান পাকাপোক্ত করতে বদ্ধপরিকর তিনি।
এশিয়ান ইয়ুথ গেমস নিয়ে সামির বলেন, ‘আশা করছি ইয়ুথ গেমসে আমার অনেক ভালো অভিজ্ঞতা হবে। জানি সেখানে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বিশ্বের সেরা সেরা অ্যামেচার গলফাররা আসবেন। বড় হতে হলে তো সেরাদের সঙ্গেই লড়াই করতে হবে। লড়াইয়ে জিততে হবে। আমার বিশ্বাস এবারের গেমসে আমি ভালো কিছু করতে পারব। টার্গেট একটাই, বাংলাদেশের জন্য গোল্ড মেডেল জয় করা।’ বাহরাইনে এ তৃতীয় এশিয়ান ইয়ুথ গেমসে সামির ছাড়াও অংশ নিচ্ছেন আরেক অ্যামেচার গলফার মাহমোদুল ইসলাম সৌরভ। ইয়ুথ গেমসে বাংলাদেশ দলের শেফ দ্য মিশন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হুমায়ূন কবীরও গলফে পদক জয়ের আশা প্রকাশ করেছেন।