যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ১৩.৭ মিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটি ৩৭ লাখ। এ হিসাবে দেশটির অভিবাসীদের ২৫ শতাংশ অবৈধ এবং এর বড় একটি অংশ ৫ বছরের বেশি সময় ধরে বৈধ হওয়ার প্রত্যাশায় আছেন। মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউট এমপিআইর গবেষণা জরিপের বরাত দিয়ে সংস্থাটির ‘ইমিগ্রেশন পলিসি প্রোগ্রাম’-এর সহযোগী পরিচালক জুলিয়া জিলেট মঙ্গলবার এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
জরিপের তথ্যানুসারে, চার বছর আগে অর্থাৎ করোনার প্রাক্কালে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ১১ মিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটি ১০ লাখের মতো। এমপিআই-এর জরিপ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীর ৪০ শতাংশ হলেন মেক্সিকান। ২০১০ সালে তা ছিল ৬২ শতাংশ।
জরিপে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, অবৈধভাবে বসবাসরতদের মধ্যে অন্তত ৪২ লাখ নারী-পুরুষই ইউএস সিটিজেন অথবা গ্রিনকার্ডধারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী অন্তত ৬৩ লাখ শিশু রয়েছে যাদের মা-বাবার একজন অবৈধ অভিবাসী। আরও দেখা গেছে, অবৈধদের ৪৫ শতাংশ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ১৫ বছর থেকে ১৯ বছর ধরে বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ১৪ শতাংশ। আর ৫ বছরের কম সময় ধরে আছেন এমন অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ২০ শতাংশের কম।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, সবচেয়ে বেশি অবৈধ অভিবাসী আছেন ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডা ও টেক্সাস রাজ্যে। এ কারণে এ রাজ্যগুলোয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে গ্রেপ্তার অভিযান তীব্রতর করা হয়েছে। ট্রাম্পের চলতি মেয়াদে অর্থাৎ গত ৯ মাসে ২০ লাখের অধিক অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তারের পর বহিষ্কার বা স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরতে হয়েছে। গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের এ অভিযান ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এদিকে, অবৈধভাবে বসবাসরতদের মধ্যে যারা গুরুতর কোনো অপরাধে লিপ্ত না এবং যারা সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন ও নিয়মিত কর প্রদান করেন, তাদেরকে বিভিন্ন শর্তে বৈধতা প্রদানের একটি অঙ্গীকার রয়েছে বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের। কিন্তু বর্তমানে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকানদের তরফে আন্তরিক সহযোগিতা না আসায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তেমন কোনো বিল কংগ্রেসে পাস হয়নি।