বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনা শুধু বাংলাদেশ নয়। এশিয়ার ফুটবলে অন্যতম আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় ভেন্যু। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র ক্লাবের হোম ভেন্যু যেখানে জাতীয় দল ও ক্লাব পর্যায়ের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে। পেশাদার ফুটবলে অভিষেকের পর বসুন্ধরা কিংস যেমন একের পর এক শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়েছে। তেমনি তাদের হোম ভেন্যু আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফার নজরে আসতে সময় লাগেনি। অল্প দিনের মধ্যে কিংস-অ্যারিনা বিশ্ব ফুটবলে পরিচিতি লাভ করেছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব, এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব, এএফসি ক্লাব ফুটবল ও নারীদের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো সুষ্ঠু ও নিরাপদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই তো ফিফা ও এএফসির গুড বুকে ঠাঁই পেয়েছে।
কিংস অ্যারিনা পরিদর্শনে এসে ফিফা, এএফসি ও বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তারা ভূয়সী প্রশংসা করে গেছেন। বাংলাদেশে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে ফুটবল ভেন্যু যে হতে পারে তা ছিল ধারণার বাইরে। বড় বড় কর্মকর্তাই এমন মন্তব্য করে গেছেন। আলোচিত এ ভেন্যু এবার আরেক ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায়। আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিরপেক্ষ ভেন্যুর তালিকায় নাম লেখাতে চলেছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনা। নিরাপত্তার কারণে অনেক বছর ধরে নিজেদের দেশে আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করতে পারছে না আফগানিস্তান। দেশের বাইরের বিভিন্ন স্টেডিয়ামকে তারা হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করছে। ১৮ নভেম্বর এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে মিয়ানমারের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ। নানা প্রতিকূলতায় নিজ দেশে ম্যাচ আয়োজন করা তো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করে বাংলাদেশে তাদের হোম ম্যাচ আয়োজনে অনুরোধ করেছে। বাফুফে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সঙ্গে আলোচনা করে আফগানিস্তানকে সবুজ সংকেতও দিয়ে দিয়েছে।
প্রশ্ন, হচ্ছে আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের ম্যাচটি কোথায় হবে। একই দিন অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর তো ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বাফুফের এক কর্মকর্তা জানান, বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় ম্যাচটি হবে। এ ব্যাপারে নাকি বসুন্ধরা কিংস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘এ ব্যাপারে কেউ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। কিংস অ্যারিনা নিয়ে আগ্রহ দেখালে তা অবশ্যই আমরা বিবেচনা করব। কারণ একটা বাইরের দেশের হোম ভেন্যুর গুরুত্ব রয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে কিংস অ্যারিনাতেই আফগানিস্তানের ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’ যদি তা হয় বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য হবে নতুন অধ্যায় ও ইতিহাস।
নেপাল জাতীয় দলও কিংস অ্যারিনাকে হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। মাঠের ব্যস্ততার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ভারতও চেয়েছিল যৌথভাবে আইএফ শিল্ড আয়োজন করতে। ঘরোয়া ফুটবলে ব্যস্ত সূচির কারণে কিংস কর্তৃপক্ষ রাজি হননি।