জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসাইনকে হত্যার জন্য মাসখানেক আগেই পরিকল্পনা করেন তার ছাত্রী বর্ষা ও মাহির রহমান। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই পরিকল্পনা করেন বলে জানান তারা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হত্যার দিনে মাহিরের সঙ্গে তার আরও দুই বন্ধু ছিল। হত্যার জন্য তারা নতুন দুইটা সুইচ গিয়ার কেনে নিয়ে আসে। জোবায়েদকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ছুরি চালায় মাহির। মাহিরকে হত্যার নির্দেশ দেয় বর্ষা।
তিনি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ড বর্ষা ও মাহিরের পরিকল্পিত ছিল। বর্ষার সঙ্গে যেহেতু মাহিরের দীর্ঘ ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল কিন্তু টিউশনি করার সুবাদে আবার বর্ষা জোবায়েদের ওপর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় বর্ষা মাহিরকে না করে দেয় এবং সে জোবায়েদেকে পছন্দ করে বলে জানায়। এরপর কিছুদিন পরেই তার বয়ফ্রেন্ড মাহিরকে জানায় যে, জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। তখন জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে বর্ষা ও মাহির।
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে জোবায়েদকে হত্যার এই পরিকল্পনা স্বীকার করেনি বর্ষা। পরে মাহির ও বর্ষাকে মুখোমুখি করলে সত্যতা জানায়। জোবায়েদকে কীভাবে সরিয়ে দেওয়া যায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই পরিকল্পনা করেন তারা। এখন পর্যন্ত বর্ষাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তিনজনকে আসামি করে করা হয়েছে মামলা।
জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সংসদের সভাপতি ছিলেন। এক বছর ধরে তিনি পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় বর্ষাকে ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন। রোববার বিকেল ৪টার ৪৫ মিনিটের দিকে বর্ষার বাসার তিনতলায় ওঠার সময় সিঁড়িতে তিনি খুন হন। বাসার নিচতলার সিঁড়ি থেকে তিনতলা পর্যন্ত সিঁড়িতে রক্ত পড়ে ছিল। তিনতলার সিঁড়িতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাকে।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি