যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস অভিবাসন আদালতে পূর্বনির্ধারিত হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশি নারী মাসুমা খান (৬৪)। ঘটনাটি ঘটেছে ৬ অক্টোবর। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এজেন্টরা তাকে গ্রেপ্তার করে শত মাইল দূরের এক ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে গেছেন। মাসুমা খানের স্বামী নরসিংদীর ইশতিয়াক খান রবিবার এ সংবাদদাতাকে জানান, ২০১৪ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণের পরই স্ত্রীর জন্য গ্রিন কার্ডের আবেদন করেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) আবেদনটি নাকচ করে দেয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯৭ সালে মেয়ের অসুস্থতার সময় ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা মাসুমা খান ভিসার মেয়াদ শেষে দেশে না ফিরে থাকার চেষ্টা করেন।
ইশতিয়াক খানের দাবি, লস অ্যাঞ্জেলেসে এক বাংলাদেশি ওই সময় তাকে স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অর্থ হাতিয়ে উধাও হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ভিন্ন ঠিকানায় অন্য নামে আবেদন করার কারণে তিনি কোনো নোটিস পাননি। এ অবস্থায় বহিষ্কারাদেশ জারি হয়, যা অনেক পরে জানা যায়।
ইশতিয়াক খান জানান, তারা আদালতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন, যা দুবার নাকচের পর ২০২০ সালে আবার আপিল করেন। সেই আবেদন এখনো পেন্ডিং রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আইসের নির্দেশে মাসুমা খান বছরে একবার হাজিরা দিচ্ছিলেন। সর্বশেষ হাজিরার দিন (৬ অক্টোবর) আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় তাকে সেখানেই গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় গণমাধ্যম এবিসি টেলিভিশনসহ একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস কমিউনিটি নেতা মমিনুল হক বাচ্চু এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে মাসুমা খানের মুক্তি দাবি করেছেন।