চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বাড়ানোর প্রতিবাদে ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি একদিন পালনের পর প্রত্যাহার করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। শ্রমিক-কর্মচারীদের বন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাড়ানো চার্জ প্রত্যাহারের আশ্বাসে সোমবার এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
এদিকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘটে প্রধান সমুদ্রবন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে স্থবিরতা দেখা দিলেও কর্মসূচি প্রত্যাহার হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক এএসএম রেজাউল করিম স্বপন জানান, প্রতদিনি চার ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। রবিবার তা পালিত হয়। গতকালও কর্মবিরতি পালনের কথা ছিল। এরইমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়ায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ শ্রমিক-কর্মচারীরা পূর্ণ দিবস কাজ করেছেন।
তিনি জানান,সম্প্রতি নতুন ট্যারিফ কাঠামো কার্যকর হওয়ায় প্রবেশ ফি আগের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেড়ে গেছে। এই কারণে বাধ্য হয়ে আন্দোলন কর্মসূচি দিতে হয়েছিল।
আমদানি ও রপ্তানিকারকের প্রতিনিধি হিসেবে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা পণ্যের শুল্কায়ন, ছাড়করণ ও রপ্তানি সংক্রান্ত কাজ করে থাকেন। বিভিন্ন সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের অধীনে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসকেন্দ্রিক প্রায় ১৩ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন।
ট্যারিফ বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত শনিবার পোর্ট ইউজার্স ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সভা থেকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা প্রতিদিন চার ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন বলে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিকে বর্ধিত প্রবেশ ফির প্রতিবাদে পাঁচদিনের লরি ও একদিনের ট্রাক ধর্মঘট পালিত হয়। গাড়ির ধর্মঘট রবিবার প্রত্যাহার করা হলে ওইদিন বিকাল থেকে ডেলিভারি শুরু হয়। তবে একসঙ্গে অনেক গাড়ি বন্দরে প্রবেশের চেষ্টা করলে দেখা দেয় তীব্র যানজট।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ধর্মঘটের কারণে রবিবার ২৯৫ টিইউএস কনটেইনার ডেলিভারি হয়। তবে গতকাল এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৭৪২ টিইইউএস।
বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডা মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার জানান, বন্দরে ১ হাজার ৪৪৩ টিইইউএস রপ্তানি কনটেইনার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যানজটের কারণে তুলনামূলক কম আমদানি পণ্য ডিপোতে আসছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম