বাগেরহাটের মোংলায় মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বিদেশি বন্ধু, কবি-সাহিত্যিক ও শিক্ষানুরাগী ইতালীয় নাগরিক ফাদার মারিনো রিগনের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিলো মোংলার শেলাবুনিয়ায় ফাদার মারিনো রিগনের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, আলোচনা সভা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও খ্রিষ্টীয় যাগ। এসব কর্মসূচির আয়োজন করে সেন্ট পলস ধর্মপল্লী, ফাদার রিগন শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, মোংলা নাগরিক সমাজ ও সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয়।
সকাল ৮টায় ফাদার রিগনের সমাধি চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সেন্ট পলস ধর্মপল্লীর পুরোহিত ফাদার ফিলিপ মন্ডল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি মো. জুলফিকার আলী।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান হাওলাদার, ফাদার রিগন শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, মোংলা নাগরিক সমাজের সভাপতি মো. নূর আলম শেখ, মোংলা সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. অসিত বসু, সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রাদার এন্ড্র জয়ন্ত কস্তা এবং ফাদার রিপন সরদার।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মোংলা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির তালুকদার, সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র মো. আলাউদ্দিন, সেবা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মিনা হালদার, হলদিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ হালদারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বক্তারা বলেন, ফাদার রিগনকে বাদ দিয়ে মোংলাকে কল্পনা করা যায় না। বাংলাদেশের মাটি, মানুষ ও সংস্কৃতির প্রেমে তিনি যাজকীয় দায়িত্ব শেষে এ দেশেই থেকে গেছেন। মৃত্যুর আগেই তিনি জানিয়েছিলেন— মৃত্যুর পর যেন তাঁকে এদেশেই সমাহিত করা হয়।
উল্লেখ্য, ফাদার রিগন ১৯২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ইতালির ভিল্লারভেরলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে ধর্মের শান্তিময় বাণী প্রচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসেন। ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ইতালিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর এক বছর পর তাঁর অন্তিম ইচ্ছানুযায়ী প্রিয় মোংলার শেলাবুনিয়ায় তাঁকে সমাহিত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল