জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী চৌধুরী নায়াব ইউসুফ তার ও বিএনপিকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।
তিনি বলেন, গত ১৯ অক্টোবর ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচারের সময় আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা উস্কানিমূলক আচরণ করে। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পরিচিত সন্ত্রাসীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে আপত্তিকর স্লোগান ও উস্কানিমূলক ভাষা ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এতে স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে জনতার চাপে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আমার বা বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর কোনো সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও একে আজাদ তার নিজস্ব টেলিভিশন চ্যানেল ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এটি একটি পরিকল্পিত নির্বাচনী অপকৌশল। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য তিনি ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছেন।
চৌধুরী নায়াব ইউসুফ আরও বলেন, গত দুইদিন ধরে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। অতীতের মতোই আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের ছায়া এখন ফরিদপুরেও পড়েছে। প্রশাসন আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের কাজে সহযোগিতা করছে।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা একে আজাদসহ যারা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে এম কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, আজম খান, আলী আশরাফ নান্নু, দেলোয়ার হোসেন দিলা, এবি সিদ্দিক মিতুল, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম লিটন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গী, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিনান, সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল, মহিলাদল, শ্রমিকদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে জেলা বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ সুপার আব্দুল জলিলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আওয়ামী দোসরদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে স্বারকলিপি প্রদান করে।
অপরদিকে, একে আজাদসহ আওয়ামী দোসরদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল