ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার।
মঙ্গলবার কাতারের আইন পরিষদ শুরা কাউন্সিলে বার্ষিক ভাষণে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অব্যাহত লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানান।
কাতারের আমির বলেন, “গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ গণহত্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনি জনগণের সুরক্ষা প্রদান করতে হবে এবং গণহত্যার অপরাধীরা যাতে জবাবদিহিতা থেকে রেহাই না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি বলেন, “এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ট্র্যাজেডির ক্ষেত্রে সম্মান প্রদর্শন করতে অক্ষম।”
কাতারের আমির আরও বলেন, “আমরা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন এবং কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই। বিশেষ করে গাজা উপত্যকাকে একটি জনবসতিহীন অঞ্চলে পরিণত করা, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রাখা, পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণকে ইহুদিকরণের প্রচেষ্টা।”
আমির বলেন, “আমরা আরও নিশ্চিত করি যে, গাজা উপত্যকা ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।”
কাতারের আমির তার বক্তব্যে গত মাসে রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি হামলার কথাও উল্লেখ করেন।
গত মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে হামাসের আলোচনার বৈঠকে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল।
কাতারের আমির বলেন, “মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালনকারী একটি দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন এবং আলোচনাকারী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের হত্যার চেষ্টা করে ইসরায়েল সব আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। আমরা এই আগ্রাসনকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ বলে মনে করি এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া অপরাধীদের হতবাক করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল।” সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ