মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নতুন এক ইতিহাস গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া দলটি পুরো ৫০ ওভারই স্পিনারদের দিয়ে বল করিয়ে রেকর্ড গড়েছে ওয়ানডে ক্রিকেটে।
এর আগে ওয়ানডেতে কখনও কোনো দল সম্পূর্ণ ইনিংসে শুধুই স্পিন বোলিং করায়নি। তবে আজ মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই অনন্য রেকর্ড গড়েছে। ম্যাচের প্রথম পাঁচ বোলারই ছিলেন স্পিনার। দুই পেসার জাস্টিন গ্রিভস ও শেরফান রাদারফোর্ড এক ওভারও বল করার সুযোগ পাননি। আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে এমন নজির এই প্রথম দেখা গেল।
মিরপুরের পিচ নিয়ে বরাবরই চলে আলোচনা-সমালোচনা। অতিরিক্ত স্পিন সহায়ক এই উইকেটের উন্নয়নের দায়িত্ব পেলেও বিশ্বখ্যাত কিউরেটর টনি হেমিং এখনো কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে পারেননি। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই বোঝা যায়, পিচ হয়ে উঠেছে আগের চেয়েও বেশি স্পিনবান্ধব। দ্বিতীয় ম্যাচে সেটি আরও প্রকটভাবে দেখা গেল।
স্পিনের আধিপত্য আঁচ করতে পেরেই আগের দিন (২০ অক্টোবর) ছোট ব্যাট দিয়ে স্পিন অনুশীলন করে বাংলাদেশ। অপরদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ পুরোপুরি মনোযোগ দেয় স্পিন মোকাবেলায়। দুই দলই আজ একাদশ সাজায় চারজন করে মূল স্পিনার নিয়ে, সঙ্গে একজন করে পার্ট টাইম স্পিনারও ছিল।
চার স্পিনার নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশের জন্যও ছিল পুরনো স্মৃতি ফিরে পাওয়ার উপলক্ষ। সর্বশেষ ২০২২ সালে গায়ানার প্রভিডেন্সে এমন কৌশল নিয়েছিল দলটি। সেই ম্যাচে স্পিনে বিধ্বস্ত হয়ে ১৬৮ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাইজুল ইসলামের ছিল ৫ উইকেটের অবদান। বাংলাদেশ জিতেছিল ৪ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখে।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এ ধরনের স্পিন-নির্ভর বোলিং পরিকল্পনা আগে কখনো দেখা যায়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে বাংলাদেশকে ২১৩ রানে থামাতে সফলও হয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/মুসা