বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেছেন, ‘শুধু সার্টিফিকেট নয়, দক্ষ ও জ্ঞানভিত্তিক মানবসম্পদ গড়াই এখন বাউবির প্রধান লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘বাউবি প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল অবহেলিত ও কর্মজীবী জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়া। আমরা সেই লক্ষ্যে আরও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় কেবলমাত্র ডিগ্রি প্রদানের প্রতিষ্ঠান নয়- এটি একটি মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র।’
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আগে ‘বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়: দ্যুতিময় এক বছর’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সেশনজট নিরসন, নকলমুক্ত পরীক্ষা, ফলাফল ও নাম সংশোধনে গতি আনা এবং প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে দক্ষতাভিত্তিক নতুন প্রোগ্রাম চালুর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মো. শামীম। এতে বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. আনিছুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. খালেকুজ্জামান খান।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে গাজীপুরের প্রধান ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
সকালে জাতীয় পতাকা ও বাউবির নিজস্ব পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। এ সময় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা উত্তোলনের পর শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও রঙিন বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। এরপর উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত স্মারক ‘জুলাই জাগরণী’-তে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শহিদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।
একইসঙ্গে দেশের সব আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রেও জাতীয় ও বাউবির পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ