কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকায় অবস্থিত মেসার্স বিএমবি ব্রিকসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। এর আগে সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আদালতকে জানাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই বিএমবি ব্রিকস অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করছে। এতে আশপাশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বসতবাড়ির পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি জানান, স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী কাজী আল মামুনসহ অনেকে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ইটভাটাটি পরিচালিত হয়ে আসছে, যা পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি করছে।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রয়োগ শাখার পরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং মেসার্স বিএমবি ব্রিকসের মালিক মো. আজাদ হোসেনকে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল