নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ১২ বছরের এক শিশু গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. রুহুল আমিন (৪১) নামে একজন পুলিশ সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে রুহুল আমিনকে আদালতে তোলা হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম ইয়াসির আরাফাত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত মো. রুহুল আমিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি ট্রাফিক ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন। তিনি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ির শেখ সাদির ছেলে এবং বন্দর উপজেলার রূপালী আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়, গত ২০ অক্টোবর ভিকটিমকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন রুহুল আমিন। পথে নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নম্বর রেলগেট এলাকায় ভিকটিম চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয়রা রুহুল আমিনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
এদিকে, ভিকটিমের চাচা নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, রুহুল আমিন শিশুটিকে ঢাকা থেকে ফুসলিয়ে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে এসে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। পরে পুনরায় ঢাকায় ফিরিয়ে আনার পথে ভিকটিমের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন এবং রুহুল আমিনকে আটক করে থানায় খবর দেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করে আদালতে আনা হয়েছে। আদালত পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী জানান, ভিকটিমের চাচা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। নির্যাতিতা শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল