হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনাম উল্যা বলেছেন, দেশের উচ্চশিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে গবেষণার মানোন্নয়ন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, পরিসংখ্যানভিত্তিক গবেষণা বিশ্লেষণ, থিসিস লেখার দক্ষতা ও বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশ একজন গবেষককে বিশ্বমঞ্চে পরিচিতি এনে দেয়।
উপাচার্য আরও জানান, বর্তমান যুগ জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির যুগ। এখানে অগ্রগতি নির্ভর করে গবেষণার গভীরতা ও নতুন উদ্ভাবনের ওপর। এ ধরনের প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে না, তাদের চিন্তাশক্তিকে যুক্তিনির্ভর ও অনুসন্ধানী করে তোলে। আমাদের লক্ষ্য হাবিপ্রবিকে গবেষণাভিত্তিক ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা। সেই লক্ষ্যে এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তব গবেষণায় প্রয়োগ করে নতুন নতুন উদ্ভাবনের দ্বার উন্মোচন করবে এবং দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরেও হাবিপ্রবির সুনাম বৃদ্ধি পাবে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) হাবিপ্রবিতে ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি) আয়োজিত ‘স্ট্যাটিস্টিক্যাল এনালাইসিস, থিসিস ও সায়েন্টিফিক পেপার রাইটিং’ শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালা ১৫ অক্টোবর শুরু হয়ে সোমবার আইআরটির কনফারেন্স কক্ষে সমাপ্ত হয়।
কর্মশালায় আইআরটির পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির। সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান মন্ডলও উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ