সিরিজ শুরুর আগে থেকেই আলোচনায় উইকেট। দুই ম্যাচেই খেলা হয়েছে বেশ 'কালো' চেহারার পিচে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের তুলনায় একটু বেশিই কালো ছিল প্রথম ওয়ানডের উইকেট। সেটি টিভিতে দেখে নিজের টিভিই নষ্ট ভেবেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন।
শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে স্কোয়াডে ছিলেন না আকিল। বাড়িতে বসে নিজের টিভিতেই প্রথম ওয়ানডে দেখেন তিনি। সেদিনের পিচের রং ছিল গাঢ় কালো। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেক হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
দ্বিতীয় ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে প্রথম ম্যাচের ওই উইকেট দেখে নিজের বিস্ময়ের কথা লুকাননি আকিল।
তিনি বলেন, “আমি সেদিন টিভি অন করেছি। এরপর প্রথম যে কাজ করেছি, টিভিটা চেক করেছি। কারণ আমার মনে হচ্ছিল, আমার টিভিতে কোনো সমস্যা হয়েছে। পিচ পুরো কালো ছিল। আমার মনে হচ্ছিল, 'নিশ্চিতভাবে আমার টিভি নষ্ট হয়ে গেছে।' তো অবশ্যই এটি বেশ বিস্ময়কর ছিল।”
মিরপুরের স্পিন স্বর্গ দেখে আকিলকে জরুরি ভিত্তিতে উড়িয়ে আনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দীর্ঘ ফ্লাইটের পর মঙ্গলবার ভোর ৪টায় টিমে হোটেলে যোগ দেন অভিজ্ঞ স্পিনার। পরে দুপুরেই আবার খেলতে নেমে যান। মূল ম্যাচের পুরো ১০০ ওভারের পর সুপার ওভারের দায়িত্বও পড়ে আকিলের কাঁধে।
সুপার ওভারে ১১ রান বাঁচাতে নেমে দুইটি 'ওয়াইড' ও একটি 'নো' বল করলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১ রানে জয় এনে দেন আকিল। আর মূল ম্যাচে ৪১ রানে তিনি নেন ২ উইকেট ও ব্যাটিংয়ে দশ নম্বরে নেমে করেন ১৭ বলে ১৬ রান।
অথচ ২০২৩ সালের জুলাইয়ের পর এটিই ছিল তার প্রথম ওয়ানডে। তাই আকিলের কাছে প্রশ্ন হয়েছিল, প্রথম ওয়ানডেতে দলের বাইরে থেকে উইকেট দেখার পর কি মনে হয়েছিল কিনা যে, এই উইকেটে খেলতে পারলে ভালো হতো?
উত্তরে অবশ্য কোনো আক্ষেপের কথা বলেননি আকিল। তিনি বলেন, “(প্রথম ম্যাচে) আমার মনে হয়নি যে কেন আমি দলে নেই। আমি নির্বাচক, দায়িত্বরতদের ওপর ভরসা রাখি। তারা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্বে আছে। আর আমার জন্য মূল বিষয় হলো ম্যাচ উপভোগ করা, নিজের সামর্থ্যে সর্বোচ্চ দিয়ে পারফর্ম করা। এরপর বাকি কাজ নির্বাচকদের। তাদের কাজ এটি।”
বিডি প্রতিদিন/নাজিম