ওয়ার্ল্ড হ্যান্ডরাইটিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী আদিরা ইফরিন ও সুদীপ্তা রায়। তাদের এই অর্জনে ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী আনন্দে ভাসছেন। সেই সাথে বিজয়ী দুই শিক্ষার্থীর পরিবার ও স্বজনদের মাঝে বইছে প্রাপ্তির আনন্দ।
আদিরা ইফরিন রংপুর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়ার্ল্ড হ্যান্ডরাইটিং ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন আয়োজিত ওয়ার্ল্ড হ্যান্ডরাইটিং প্রতিযোগিতায় এয়ারটিক হ্যান্ডরাইটিং গ্রুপ ১-এ প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে। তার বাবা গাইবান্ধা সরকারি কলেজ সহকারি অধ্যাপক এ.এস.এম আশফাখুল ইসলাম, এবং মা রংপুরের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল, বিসিএস (ডাক)। সে প্রায় তিন বছর থেকে একটি একাডেমিতে হাতের লেখা এবং ড্রয়িং শিখছে। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
এদিকে সুদীপ্তা রায় রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে ওয়ার্ল্ড হ্যান্ডরাইটিং কনটেস্ট পান্ডুলিপি হ্যান্ডরাইটিং গ্রুপ বি (বয়স ১৩-১৯)-তে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। প্রথম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে স্থানীয় একটি একাডেমীতে হাতের লেখা শিখেছে সে। তার বাবা কমল কুমার রায় একজন চাকরিজীবী, মা মিনা রায় গৃহিণী।
এই দুই শিক্ষার্থীর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্য অর্জন করায় খুশি ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ পরিবার।
এ প্রসঙ্গে কলেজটির অধ্যক্ষ কর্নেল আহসানুল কবির বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছিলাম। এখানে ১৪ বছর লেখাপড়া করেছি। বর্তমানে আমি অধ্যক্ষ। আদিরা ইফরিন ও সুদীপ্তা রায়ের আন্তর্জাতিক এই অর্জনে আমরা গর্বিত। হাতের লেখার মাধ্যমে একজনের ব্যক্তিত্ব ও রুচিবোধ ফুটে উঠে। আগামী জানুয়ারি মাসে এই অঞ্চলের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। আশাকরি এই আয়োজনে আরও কিছু মেধাবী শিক্ষার্থী বেরিয়ে আসবে।
আদিরা ইফরিনের বাবা সহকারি অধ্যাপক এ.এস.এম আশফাখুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়ের এই অর্জনে আমরা খুশি। আশাকরি ভবিষ্যতে আমার মেয়ে আরও ভালো করবে।’
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ