সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচটি উত্তেজনার চরমে পৌঁছায়। দম বন্ধ হয়ে যাওয়া ম্যাচে ১১ রানের টার্গেট টপকাতে না পেরে বাংলাদেশ হেরেছে ১ রানে। এ হারে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে সমতায় ফেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামীকাল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। ঘূর্ণি উইকেটে সুপার ওভারে নির্ধারিত ম্যাচে ক্যারিবীয়রা প্রথম ব্যাটিংয়ে ১০ রান করে। জবাবে টাইগাররা সংগ্রহ করে ৯ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারের ম্যাচের শেষ বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ মিসে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। শেষ বলের সমীকরণ ছিল ৩ রান। বাংলাদেশকে জিততে ১ রানের বেশি দেওয়া যাবে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিততে নিতে হবে ৩ রান। ব্যাটিংয়ে ক্যারিবীয়দের ১১ নম্বর ব্যাটার খারি পিরে। সাইফের নিচু হওয়া বলটি পুল করেন বাঁ-হাতি পিরে। ব্যাটের কানায় লেগে বল আকাশে উঠে যায়। দৌড়েও ক্যাচটি নিতে পারেননি বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক সোহান। ২ রান নেন দৌড়ে। ম্যাচ টাই। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথম ‘টাই’। ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২১৩ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২১৩। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে বাংলাদেশের টার্গেট ১১ রান। ম্যাচের শুরুতে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক ম্যাচের ইনিংসে পুরো ৫০ ওভার বোলিং করেছেন ক্যারিবীয় স্পিনাররা। ৫৪ বছরের (১৯৭১-২০২৫) ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো ম্যাচের এক ইনিংসে পুরো ৫০ ওভার স্পিনাররা বোলিং করে নতুন রেকর্ড গড়েছে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আগের রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার, ৪৪ ওভার। এক ম্যাচে সর্বাধিক ওভার করার রেকর্ড গড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের স্পিনাররা। দুই দলের স্পিনাররা মোট বল করেন ৯২ ওভার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫০ ওভারের বিপরীতে বাংলাদেশের স্পিনাররা বোলিং করেন ৪২ ওভার। এককভাবে বিশ্ব রেকর্ডটির মালিক এখন মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম। আগের রেকর্ডটি ৭৮.২ ওভারের, ২০১৯ সালে দেরাদুনে আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ। ৩৯ ওভার বোলিং করেছিল আয়ারল্যান্ড। আফগানিস্তান করেছিল ৩৯.২ ওভার। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচটি টাই হয়েছে। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। আগামীকাল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
প্রথম ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৩ রান করে। এ রানটি করেছে টেল এনডার রিশাদ হোসেনের টর্নেডো ব্যাটিংয়ে। ১৪ বলে ২৭৮.৫৭ স্ট্রাইকরেটে রিশাদ ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৩টি করে চার ও ছক্কায়। এ ছাড়া ওপেনার সৌম্য সরকার ৪৬, অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। মিরাজ বাহিনীর ইনিংসে ডট ছিল ১৯৩টি। প্রথম ওয়ানডেতে ডট ছিল ১৮৩টি। ২১৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ক্যারিবীয়রা এক সময় ১৩৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। সেখান থেকে অধিনায়ক শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভস ৪৪ রান যোগ করে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান। জুটি ভাঙে হোপের রানআউটে। এ জুটির গড়ে দেওয়া ভিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজও ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২১৩ রান করে।