জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, সোনার বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করার জন্য হিন্দুস্তান ও আওয়ামী লীগ ৭১ সাল থেকেই একসঙ্গে কাজ করছে। যুগে যুগে তাদের সহযোগিতা করেছে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল। আগামী জাতীয় নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য হিন্দুস্তানি আওয়ামী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কথাবার্তা পরিষ্কার, পাহাড়কে অশান্ত আর আগুনসন্ত্রাস করে বাংলার স্বাধীনতাকে কবজা করা যাবে না। দেশের মানুষ ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর মেনে নেবে না।’
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে জাগপা সাবেক সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পল্টনের কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, পল্টনে অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে তিনি খাবার বিতরণ করেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, দেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং গণভোট আয়োজন করতে হবে। প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে হবে। ভারতীয় প্রভাবমুক্ত, দিল্লি থেকে পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনী ফলাফল আর চলবে না। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই ক্ষমতা ব্যবহার করা বিশেষ দলকেও জনগণ মেনে নেবে না।’
জাগপা সাবেক সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান স্মরণে তিনি বলেন, শফিউল আলম প্রধান এবং রেহানা প্রধান আজীবন ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। ৮০-এর দশকে তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ আজ জাতীয় স্লোগানে পরিণত হয়েছে। স্লোগানকন্যা রেহানা প্রধানের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন আজ বাস্তব। তাদের দেখানো পথে আমাদের চলতে হবে, আর কখনোই দিল্লির গোলামি করা যাবে না। দিল্লির গোলাম আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ১৪ দলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মো. শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার ও যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি