ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে চাশোটি এলাকায় ‘মেঘ বিস্ফোরণে’ সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে দেশটির কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর (সিআইএসএফ) দুই কর্মীও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতোয়ার জেলার চাশোটি এলাকায় ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট আকস্মিক এ বন্যার পানি নিচু অঞ্চলে যা ছিল তার সবই ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এতে করে নিচু জায়গাগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
প্রশাসনের আশঙ্কা, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারেন। ইতোমধ্যে ১৬০ জনের বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে পিটিআই জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “প্রশাসন তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছে, উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলের পথে রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় উদ্ধার ও চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে।”
এদিকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের সমন্বয়ে ব্যাপক উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।
প্রশাসন চাশোটি গ্রাম থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরের পদ্দার এলাকায় তীর্থযাত্রী ও স্থানীয়দের সহায়তায় একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও সহায়তা ডেস্ক স্থাপন করেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে কিসতোয়ারের মাতা চণ্ডী হিমালয় তীর্থস্থানে যেতে চাশোটি হয়ে যেতে হয়। চাশোটি অঞ্চলটি বেশ দুর্গম। তবে এই চাশোটি গ্রামের পর আর গাড়ি যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। এদিকে মেঘ বিস্ফোরণে আকস্মিক বন্যার কারণে এবারের বার্ষিক যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক কর্মকর্তা। সূত্র: এনডিটিভি
- কাশ্মীরে ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বন্যা, প্রাণহানি বেড়ে ৩৪
- কাশ্মীরের হড়কা বানে ১২ জনের মৃত্যু
- কাশ্মীরে হড়কা বানে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর শঙ্কা
বিডি প্রতিদিন/নাজিম