গত কয়েকদিন ধরে পাবনায় চলছে শৈত্যপ্রবাহ, দেখা নেই সূর্যেরও। জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে তাদের দাবি, এটি শৈত্যপ্রবাহ নয়, রোদ না থাকা আর হালকা বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশা, কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ৩ দিনে পাবনার কোথাও রোদের দেখা মেলেনি। ঠাণ্ডায় ঘর থেকে বের হতে না পেরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কৃষক, শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতের কারণে বিভিন্ন রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কম পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে শহরের গাউনপট্টিতে কমদামি শীতের পোষাক কিনতে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
গ্রামাঞ্চলের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা বৃষ্টির মত পড়তে দেখা যায়। তীব্র শীতের কারণে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া কর্মকর্তা নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, সোমবার পাবনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধু রোদ না থাকা আর বাতাসের কারণে শীত বেশি মনে হচ্ছে। তবে আমাদের ভাষায় ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বলা হয়। বর্তমানে এটি শৈত্যপ্রবাহ নয়।
পাবনা জেনারেল হাসপাতাতের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান, কয়েক দিন ধরে তীব্র শীতের কারণে হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এসব রোগীর মধ্যে সর্দি, কাশি, শিশুদের নিউমোনিয়া, বয়স্কদের শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো তাদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখছি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল