ভারতের সংবিধান অনুসারে ‘তিন তালাক’ প্রথা বৈধ কি-না, তা নিয়ে ঐতিহাসিক শুনানি শুরু হল ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।আজ সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ জন ভিন্ন ধর্মের বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হয় শুনানি। প্রধান বিচারপতি জেএস খেহর (শিখ) ছাড়াও এই বেঞ্চে আছেন ক্যুরিয়ান জোসেফ (খ্রিষ্টান), আর.এফ নারিম্যান(পার্সি), ইউ.ইউ ললিত (হিন্দু) এবং আব্দুল নাজির (মুসলিম)। প্রথম দিনেই বিচারপ্রক্রিয়া ও বিচার্য বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত।
এদিন শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি জেএস খেহর স্পষ্ট করে দেন, তিন তালাক ইসলামের মূলগত বিশ্বাসের মধ্যে পড়ে কি-না এবং তা মুসলিমদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে কি-না, তা বিবেচনা করে দেখবে আদালত। কিন্তু মুসলিম সমাজে বহুবিবাহ নিয়ে কোনও রায় দেবে না বিচারপতিরা। তিন তালাক প্রথা তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে যারা মামলা করেন, এদিন তাদের কয়েকজনের বক্তব্য শোনা হয়। এদের মধ্যে অনেককে আবার ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপেও তালাক দেওয়া হয়েছে বলে দাবি। সমস্ত মামলাগুলির একসঙ্গে শুনানি হবে। রোজ চলবে শুনানি। সবমিলিয়ে শুনানির জন্য মোট ছয়দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রথম তিন দিন তিন তালাকের বৈধতা চ্যালেঞ্জ জানানো এবং পরের তিন দিন এই প্রথার বৈধতা প্রমাণ করার জন্য নির্ধারিত থাকবে। এরপর আদালত নিজের রায় শোনাবে।
উল্লেখ্য, ‘তিন তালাক’ প্রথা তুলে দেওয়া নিয়ে সম্প্রতি ভারত জুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তিন তালাক প্রথা তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছে কয়েকটি মুসরিম নারী সংগঠন। মোদি সরকারও চায় তিন তালাক প্রথা তুলে দিতে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ড। অবশেষে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রচলিত এই প্রথাটি তুলে দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে শীর্ষ আদালতে শুরু হয়েছে শুনানি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার