কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে গত ১৭ ঘণ্টায় বাবা-ছেলেসহ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টার দিকে সৈকতের কলাতলী সায়মন বিচ পয়েন্ট এলাকা থেকে শাহীনুর রহমান (৬০) ও তার ছেলে সিফাতের (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছিলেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, সৈকত থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে কাজ চলছে।
মরদেহ দুটি উদ্ধারকারী সি-সেইফ লাইফগার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, বাবা-ছেলে একসঙ্গে গোসলে নেমে ভেসে যাচ্ছিলেন। তখন লাইফগার্ডের কর্মীরা দেখতে পেয়ে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজনই অতিরিক্ত রক্ত বমি করেন। একপর্যায়ে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, শৈবাল পয়েন্টে শখের বশে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়ার নুরুজ্জামান প্রকাশ খুইল্লার (৬০) মরদেহ সোমবার দুপুরে সৈকতের নাজিরারটেক মোহনা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া মেরিন ড্রাইভের রামুর হিমছড়ি কাকড়া বিচের মেরিনা রিসোর্টের পাশে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। তার পরনে হাফ প্যান্ট ও মুখে রক্তের দাগ লেগে ছিল।
অন্যদিকে, সমুদ্র সৈকতে বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে সমুদ্রে নিখোঁজ মোহাম্মদ রাজীবের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৭ ঘণ্টা পর সৈকতের ‘কবিতা চত্বর’ পয়েন্টে পাওয়া যায় রাজীবের মরদেহ।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, পাঁচ বন্ধু মিলে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ঘুরতে এসেছিলেন ঈদের ছুটিতে। রবিবার বিকেলে এই বন্ধুদের একজন সৈকতে গোসলে নেমে পড়েন বিপদে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান অন্যরা। তবে সেই বন্ধু রক্ষা পেলেও সমুদ্রে ভেসে যান চট্টগ্রাম শহরের দেওয়ান বাজার এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ রাজীব। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অপরদিকে, দুপুর ১২টায় খুরুশকুলের আশ্রয়ণ প্রকল্প সংলগ্ন এলাকা বাঁকখালী নদীর মোহনা থেকে উদ্ধার করা হয় একটি অজ্ঞাত গলিত মরদেহ। নিহতের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই