লিথুয়ানিয়ায় চলমান আর্থিক অনিয়ম তদন্তের মধ্যেই পদত্যাগ করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী গিনতাউতাস পালুকাস। বৃহস্পতিবার সকালে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে তিনি নিজেই এ ঘোষণা দেন।
পালুকাস বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি প্রেসিডেন্টকে ইতোমধ্যে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।
শুধু প্রধানমন্ত্রিত্বই নয়, পালুকাস লিথুয়ানিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধানের পদ থেকেও সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও আমার ব্যক্তিগত সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। তদন্তের ফলাফলের মাধ্যমে তথ্য ও অনুমানের পার্থক্য পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এর আগে, একই দিন সকালে লিথুয়ানিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমস ইনভেস্টিগেশন সার্ভিস পালুকাসের শ্যালিকার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ডানকোরার অফিসে অভিযান চালিয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, ডানকোরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের তহবিল ব্যবহার করে গারনিস নামের এক কোম্পানি থেকে ব্যাটারি সিস্টেম কিনেছিল, যেটির আংশিক মালিকানা রয়েছে গিনতাউতাস পালুকাসের।
গত মে মাসে অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা প্রথমবারের মতো তথ্য প্রকাশ করেন যে, পালুকাসের অংশীদারিত্বে থাকা কোম্পানিটি সরকারি ঋণসহ ভর্তুকি পেয়েছিল। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে লিথুয়ানিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তীতে আরও কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হলে তদন্তের পরিধি বাড়ানো হয়। অতীতে ভিলনিয়াস শহরের পৌর প্রশাসনের পরিচালক থাকা অবস্থায়ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন পালুকাস। তাঁর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে লিথুয়ানিয়ার রাজনীতিতে এক নতুন অনিশ্চয়তার সূচনা হলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র : রয়টার্স ও এপি।
বিডি-প্রতিদিন/শআ