বরিশাল নগরীতে পুলিশ পরিচয়ে এক প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কোতোয়ালী মডেল থানায় জিডি করার পর এমন প্রতারণার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, নগরীর এক নারী তার ছেলেকে মারধরের ঘটনায় গত ৭ নভেম্বর কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন ওই নারীর মোবাইলে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পরিচয়ে এক ব্যক্তি ফোন দিয়ে জিডিকে মামলা হিসেবে রুজু করা ও আসামি গ্রেফতারের কথা বলে দুই হাজার টাকা দাবি করেন। দ্রুত বিকাশে টাকা পাঠাতে বললে ওই নারী এক হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন।
পরে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, যিনি ফোন করেছিলেন তিনি থানার কেউ নন। বিষয়টি প্রতারকের মোবাইল নম্বরসহ থানায় জানালেও এখন পর্যন্ত প্রতারককে শনাক্ত বা গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
থানার কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই নারী ছাড়াও আরও কয়েকজন একইভাবে প্রতারিত হয়েছেন। তবে প্রতারক চক্রটিকে ধরতে তেমন কোনো কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না পুলিশ।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, থানায় করা জিডির তথ্য ব্যবহার করে প্রতারণা করা ‘রহস্যজনক’। তাদের ধারণা, এ চক্রের সঙ্গে থানার ভেতরকার কেউ যুক্ত থাকতে পারে। তারা অভিযোগ করেন, “থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও যদি চক্রের সদস্যরা ভুক্তভোগীদের ফোন করতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে?”
এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, কয়েকজন প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চক্রটির অবস্থান সাভারে। মোবাইল সিমটি যে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে তোলা হয়েছে, সেটি ভুয়া। তাই তাদের শনাক্ত করা কঠিন হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল