কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ইরানের অপরিশোধিত তেল রপ্তানির নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে। আন্তর্জাতিক তেল পরিবহন পর্যবেক্ষক সংস্থা ট্যাঙ্কারট্র্যাকার্সের তথ্য অনুযায়ী, গত চার সপ্তাহে ইরান প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৩ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করেছে। যা ২০১৮ সালের মে মাসের পর সর্বোচ্চ। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি (জেসিপিওএ) থেকে বেরিয়ে এসে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
ট্যাঙ্কারট্র্যাকার্স তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে, গত চার সপ্তাহে ইরান প্রতিদিন প্রায় ২.৩ মিলিয়ন ব্যারেল ক্রুড অয়েল রপ্তানি করেছে। ২০১৮ সালের প্রথম ছয় মাসের পর এ ধরনের পরিসংখ্যান আর দেখা যায়নি।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক তেল বিশ্লেষক হোমায়উন ফালাকশাহি গত অক্টোবরের শেষের দিকে জানান, ইরানের তেল বিক্রি দৈনিক ২১ লাখ ব্যারেলে পৌঁছেছিল, যা দেশটির আরেকটি নতুন রেকর্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কঠোর তেল নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের ট্যাঙ্কারগুলো আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে অবাধে চলাচল করছে এবং তেল রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনা, তবে বাস্তবে রপ্তানি বরং ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মূলত চীনের ব্যাপক চাহিদা এবং বিকল্প বাণিজ্য চ্যানেল তৈরির মাধ্যমে ইরান নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে তেহরানের বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র: মেহের নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল