পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। বগুড়ায় প্রথমটিতে ৫ রানের জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করে টাইগার যুবারা। দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার পর তৃতীয় ও চতুর্থ ওয়ানডে ১০২ রানে ও ৪৭ রানে জিতে নেয় আফগানিস্তান। সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আফগান যুবারা। ফলে পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য জয়ের বিকল্প ছিল না। কেননা হারলে কিংবা ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেই সিরিজ জিতত আফগানিস্তানের যুবারা। এমন ম্যাচে প্রয়োজনের সময়ই জ্বলে উঠল আজিজুল হাকিম তামিমের ব্যাট। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে ২ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি ২-২ সমতায় শেষ করে বাংলাদেশ।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৮ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে ওপেনার উসমান সাদাত ১০৬ বলে ধীরগতির ৬৮ রান করেন। শেষ দিকে অধিনায়ক মাহবুব খান ৫৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেললে ২০০ পার করে সফরকারীরা। বাংলাদেশের পক্ষে সামিউন বশির দুটি উইকেট শিকার করেন।
২০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৪১ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৮৭ রানে চতুর্থ উইকেট পতনে চাপে পড়েছিল স্বাগতিকরা। সতীর্থরা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও এক প্রান্ত আগলে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন টাইগার যুবাদের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। ৭৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। পঞ্চম উইকেটে ফরিদ হাসানকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের পথ তৈরি করছিলেন আজিজুল।
পরে মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে ৩টি উইকেট হারিয়ে (১৬১/৭) পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় টাইগার যুবারা। এমন কঠিন পরিস্থিতিতেই দলের হাল ধরেন অধিনায়ক। এক প্রান্ত আগলে তুলে নেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। দলের জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি। ১১৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সেঞ্চুরির সঙ্গে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন এ তরুণ ব্যাটার। তার আগে রিজান হোসেন ২৭ ও ফরিদ হাসান ২৩ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ২৫ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের হয়ে ওয়াহিদুল্লাহ চারটি এবং সালাম ও উজাইরুল্লাহ দুটি করে উইকেট নেন।