বাগেরহাটের মোংলার পশুর নদীতে পর্যটকবাহী একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা উল্টে নিখোঁজ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রিয়ানা আবজাল (২৮) নামে এক নারী পর্যটক। শনিবার সকাল ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুদিন পেরিয়ে গেলেও তার মরদেহ এখনো উদ্ধার হয়নি।
নিখোঁজ রিয়ানা আবজাল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। রিয়ানা আবজাল তার বাবা আবুল কালাম আজাদসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সুন্দরবন দেখতে এসেছিলেন। তার বাবার বাড়ী বরিশাল জেলায়।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রানি প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মো. আজাদ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সুন্দরবনের ঢাংমারী এলাকার রিসোর্ট ‘ম্যানগ্রোভ ভ্যালি’তে পরিবারসহ রাত যাপন শেষে শনিবার সকাল ১১টায় ছোট একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে ১৩ জন পর্যটক করমজল পর্যটন কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে ঢাংমারী খাল ও পশুর নদীর সংযোগ স্থলে পৌঁছালে প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে নৌকটি উল্টে যায়।
তিনি আরও জানান এ সময় নৌকায় থাকা সবাই নদীতে পড়ে যান। কেউ সাঁতরে তীরে ওঠেন, আবার স্থানীয়দের সহায়তায় কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়। তবে রিয়ানা আবজাল নামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নারী পর্যটক এখনো নিখোঁজ হন। নিখোঁজ ওই মার্কিন প্রবাসী নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধারে দুদিন ধরে বন বিভাগ ও স্থানীয়রা পশুরর নদীতে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। এখনো মরদেহের খোঁজ মেলেনি।
নিখোঁজ রিয়ানার বাবা বলেন,‘আমি আমার ছেলে-মেয়ে, রিয়ানা তার স্বামীসহ পরিবার নিয়ে সুন্দরবনে বেড়াতে এসেছিলাম। বরিশালে বাড়ী হলেও পরিবার নিয়ে ঢাকার উত্তরায় বসবাস করি। রিয়ানা তার স্বামীর সাথে আমেরিকা থাকে। সে ছুটিতে দেশে আসায় পরিবার নিয়ে সুন্দরবন ঘুরতে এসেছিলাম। শনিবার সকাল ১১টার দিকে ‘ম্যানগ্রোভ ভ্যালি’ থেকে পরিবারসহ একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে ১৩ জন পর্যটক করমজল পর্যটন কেন্দ্রের উদ্দেশে ঢাংমারী খাল ও পশুর নদীর সংযোগ স্থলে পৌঁছালে একটি জাহাজের প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে আমাদের ছোট নৌকাটি উল্টে যায়। এতে বোটে থাকা ১৩ জনই নদীতে পড়ে যায়। পরে ১২ জনকে উদ্ধার করা গেলেও রিয়ানাকে পাওয়া যায়নি। আমরা এখনো ওর মরদেহের অপেক্ষায় রয়েছি।’
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক