আগামী সাত দিনের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকালে চট্টগ্রামের চেরাগি পাহাড় চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন সমাবেশে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে যৌথভাবে এই মানববন্ধন আয়োজন করে— চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, সৃষ্টি, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র এবং ভোরের আলো নামের সাতটি সংগঠন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—চ্যানেল আই চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা হাসান মারুফ রুমি, ভোরের আলোর সভাপতি সাংবাদিক সফিকুর রহমান সফিক, গ্রিন ফিংগার্স কো-ফাউন্ডার আবু সুফিয়ান, বেলা চট্টগ্রাম কার্যালয়ের কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট সংকেত দেব, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস. এ. পেয়ার আলী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক লোকমান দয়াল, বেলার নেটওয়ার্ক মেম্বার রেজাউল করিম রাজা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ক্ষমতার পালা বদল হলে কর্ণফুলী দখলদারদের পাল্লা ভারি হয়। দখলদারদের তালিকা দিন দিন ভারী হচ্ছে। কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করা হলে জেলা প্রশাসন কার্যালয় ঘেরাওসহ কর্ণফুলী অচল করে দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তারা আরও বলেন, যারা ক্ষমতার ছায়াতলে থেকে দেশের সম্পদ লুট করছে বা সহযোগিতা করছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তারা উল্লেখ করেন, বর্তমানে কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা নেই। অতিদ্রুত কর্ণফুলীর সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে হাইকোর্ট ঘোষিত ‘জীবন্ত সত্তা’ হিসেবে কর্ণফুলীর প্রবাহধারা স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা না করলে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)-এর বিরুদ্ধে রিট পিটিশন নম্বর ৬৩০৬/২০১০-এর আদেশ অমান্য করার অভিযোগে আদালত অবমাননা (Contempt of Court) মামলা দায়ের করা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল